প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর এক ঘন্টা আগে মেলে এই ইঙ্গিত! মৃত্যুর কাছে পৌঁছে যাওয়া ব্যক্তির অনুভুতি কেমন হয়, জানুন
ODD বাংলা ডেস্ক: গরুড় পুরাণকে হিন্দু ধর্মে মহাপুরাণের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কারণ গরুড় পুরাণে জন্ম থেকে মৃত্যু এবং মৃত্যুর পর আত্মার যাত্রাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গরুড় পুরাণেও বিষ্ণু ও গরুড়রাজের কথোপকথন বর্ণিত হয়েছে। গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত্যু কখন এবং কিভাবে হয়, তা বলা হয়েছে। এই শাস্ত্র অনুসারে মৃত্যুর পূর্বে একজন ব্যক্তির কাছে যে পূর্বাভাস আসে তা বর্ণনা করা হয়েছে। জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি জীবকে একদিন না একদিন মরতে হবে। যদিও মৃত্যু নির্ধারিত হয় একজন মানুষের জন্মের সাথে। প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুর সময়ও পূর্ব নির্ধারিত। তবে বলা হয়, এবার শুধু ভগবানই জানেন। যাইহোক, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর আগে, এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে যা বলে যে তার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে।
মৃত্যুর আগে এই নির্দেশাবলী পাওয়া যায়
মৃত ব্যক্তির কাছে কিছু নির্দেশ আসতে শুরু করে। এই নির্দেশগুলি মনে রাখতে বলা হয় যাতে মৃত ব্যক্তি তার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করতে এবং কথা বলতে পারে এবং যদি কোনও ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায় তবে সে এটি সম্পর্কে কাউকে বলতে পারে।
মৃত্যুর আগে এই লক্ষণগুলি দেওয়া হয়:
একজন ব্যক্তির মৃত্যু ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে তার পূর্বপুরুষ বা মৃত আত্মীয়রা উপস্থিত হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মনে হয় যেন মৃত প্রিয়জন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
- মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা ব্যক্তি তার চারপাশে কিছু ছায়াময় রূপ দেখতে শুরু করে।
মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে, একজন ব্যক্তি নার্ভাস হতে শুরু করে। তার কন্ঠস্বর ক্ষীণ হতে থাকে। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কথা বলতে পারবেন না। কেউ কেউ যমদূত দেখতে শুরু করেন বলে ধরা হয়। পুরাণে বলা আছে সে কথা বলা বন্ধ করবে।
মনে হয় মৃত্যুর আগে চারিদিকে আলো থাকলেও মানুষ কিছুই দেখতে পায় না। তার পাশে কী আছে তা দেখা যাচ্ছে না। এক ধরনের অন্ধকার মানুষকে ঘিরে ফেলে।
মৃত্যুর ঠিক আগে ব্যক্তির ছায়াও তার থেকে দূরে চলে যেতে দেখা যায়। যদি একজন ব্যক্তি নিজেকে আয়নায়, তেলে বা জলে দেখেন, কোন প্রতিফলন দেখা যায় না।
মৃত্যুর আগে একজন মানুষ তার করা কাজের কথা চিন্তা করতে থাকে। তার পুরো জীবনটা যেন চোখের সামনে সিনেমার মতো ঘুরছে। নিজের কৃত খারাপ কাজ এবং সেই কাজের শাস্তির চিন্তা তার মনে জাগতে শুরু করে।
Post a Comment