শ্রীদেবী আর বনি কাপুরের জন্যই কি ভেঙে গিয়েছিল জাহ্নবীর প্রথম প্রেম? অকপট স্বীকারোক্তি নায়িকার
ODD বাংলা ডেস্ক: ২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জাহ্নবী কাপুর। জীবনের অনেক কঠিন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তরুণী অভিনেত্রীকে। প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুরের কন্যা হওয়ার কারণে জাহ্নবীকে বলিউড দুনিয়ায় ‘স্বজনপ্রীতি’ অর্থাৎ নেপোটিজম বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু, রোমান্টিক ড্রামা ‘ধড়ক’ ফিল্মটি ব্যবসার দিক থেকে ভালোরকম সফল হওয়ার পর সবাই মেনে নিয়েছিল যে, তিনি তাঁর চলচ্চিত্রের পারিবারিক পটভূমির চেয়ে অনেক ওপরে রয়েছেন। তারপরে মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবীর ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘গুড লাক জেরি’, ‘মিলি’, এবং সম্প্রতি, ‘বাওয়াল’।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে, জাহ্নবী প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর বাবা-মা খুবই রক্ষণশীল এবং কঠোর মনোভাবাপন্ন ছিলেন তাঁর ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে। জীবনের প্রথম প্রেমের সম্পর্কের কথা বলার সময় একথা প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী। সঞ্চালক কুশা কপিলার সঙ্গে একটি কথোপকথনে, জাহ্নবী নিজের প্রথম প্রেমিকের কথা বলেছেন। তাঁর বাবা বনি কাপুর এবং মা শ্রীদেবীর কারণেই প্রথম প্রেমিকের সাথে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বলি সুন্দরী।
তিনি বলেছেন, “আমার প্রথম সিরিয়াস প্রেমিক ছিল সেই একই 'লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা' বাড়িতে মিথ্যে কথা বলে বলে এবং সেটার মধ্যে একটা রোমাঞ্চ ছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে, সেই সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়, কারণ, আমাকে বাড়িতে অনেক মিথ্যা কথা বলতে হচ্ছিল। আমার মা এবং বাবার বক্তব্য ছিল যে, ‘না, তোমার কখনও কোনও প্রেমিক হবে না’। ওরা খুবই রক্ষণশীল ছিল। তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, বাবা মায়ের অনুমতি এবং তাদের সাথে সম্পর্কের স্বচ্ছতা থাকা সবকিছুকে খুব সহজ করে তোলে। এটা নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিজেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। বাবা-মায়ের সাথে কথাগুলো ভাগ করে নেওয়া খুব স্বাস্থ্যকর অভিজ্ঞতা।”
তিনি আরও বলেছেন যে, আপনি যখন আপনার বাবা-মায়ের সাথে খোলামেলা থাকেন, তখন আপনার সিদ্ধান্তগুলোও সঠিক দিকে পরিবর্তিত হয়। “আপনি খুবই আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন। আমি হয়তো কোনও ব্যক্তিকে দেখছি, আমি হয়তো তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গেলাম, যদি দেখি আমার বাবা তাঁর সাথে ঠিক আছেন এবং বাবা আমার পছন্দে খুশি হলেন, সেটা আমাকে সম্পর্কের প্রতি আরও বেশি বিশ্বাসী করে তোলে। এর মানে হল যে, সবকিছু ঠিক আছে, আমি অবশ্যই ঠিক কাজ করছি।”
Post a Comment