হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করতে পারেন



 ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যালসিয়াম


শক্তিশালী হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। হাড় ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—দুধ, পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাক-সবজি বেশি খেতে হবে।


ভিটামিন ডি


পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শ গ্রহণ করা জরুরি।


কেননা দেহের প্রয়োজনীয় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যালোক থেকে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২-১টার মধ্যে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলো গ্রহণ করলে ভালো হয়।

ব্যায়াম করুন


হাঁটা, দৌড়ানো, ভারোত্তোলন ইত্যাদি ব্যায়াম নিয়মিত করা দরকার। এসব ব্যায়াম হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং হাড়ের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।


পর্যাপ্ত প্রোটিন নিন


শক্তিশালী হাড় গঠন ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা অপরিহার্য। প্রোটিনের ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে চর্বিহীন মাংস, মাছ, ডিম এবং উদ্ভিদভিত্তিক উৎস; যেমন—শিম, বাদাম ইত্যাদি।


ধূমপান ত্যাগ


গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্য সরাসরি সংযুক্ত। তবে তা কিভাবে ঘটে, সেটি পরিষ্কার নয়।


মনে করা হয়, নিয়মিত ধূমপান করলে অস্টিও ব্লাস্টের (এক ধরনের কোষ, যা নতুন হাড় গঠন করে) কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি অস্টিওপোরোসিসের জন্য ঝুঁকির কারণ।

সঠিক ওজন বজায় রাখুন


বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী প্রত্যেকের ওজন কত হবে তার তালিকা রয়েছে। সে অনুযায়ী ওজন বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অন্যদিকে যাদের হাড়ের গঠন ছোট, তাদের হাড়ের ভর কম থাকে এবং অস্টিওপোরোসিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।


নিয়মিত হাড়ের ঘনত্বের স্ক্রিনিং


বয়স্ক মানুষের মধ্যে হাড় ভাঙার সবচেয়ে সাধারণ কারণ অস্টিওপোরোসিস।


বিশেষ করে বয়স্ক নারী ও পুরুষের হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত হাড়ের ঘনত্বের স্ক্রিনিং করা উচিত।

চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ


ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সিলিয়াক ডিজিজ, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা থাকলে হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.