ভ্রমণে ‘সু সু’ শব্দটি জেনেশুনে বলুন



 ODD বাংলা ডেস্ক: প্রবাদ আছে, ‘এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি’। তাই বুঝে-শুনে এবং ভাষার জ্ঞান মাথায় রেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী শব্দ চয়ন করা উচিত। বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণে গেলে।

যেমন- বিদেশ ভ্রমণে গেলে ‘সু সু’ শব্দটি জেনেশুনে বলুন, কারণ তার অর্থ একেক দেশে একেক রকম। যেমন-


আজারবাইজান: পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ হলো আজারবাইজান। এখানে ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘পানি জল’। মানে ‘সু’ কথার অর্থ ‘পানি’। ওইদেশে গিয়ে যদি কাউকে ‘সু সু’ বলেন, তিনি আপনার কাছে এক গ্লাস জল এনে হাজির করবেন।


বাস্ক: বাস্ক ভাষায় ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘গুলি করো’। উত্তর স্পেন এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের সংলগ্ন অংশে আদিবাসীদের ভাষা হলো বাস্ক। তাই সেখানে গিয়ে ভুল করেও ‘সু সু’ শব্দটি ব্যবহার করবেন না।


বসনিয়া: বসনিয়া দেশে ‘সু সু' শব্দের অর্থ ‘করছে’। মানে এখানে আপনি যদি কোনো কাজ করেন তাহলে, সেই বাক্যের সঙ্গে সু সু শব্দটি যোগ করতে হবে। বসনিয়া এবং সার্বিয়ার কিছু অঞ্চলে এই ভাষায় কথা বলা হয়।


কর্সিকা: কর্সিকাতে ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘উপরে’। কর্সিকা ছাড়াও ফ্রান্স এবং ইতালিতেও কর্সিকান ভাষা প্রচলিত।


জেহ: জেহ হলো চেক প্রজাতন্ত্রের ভাষা। এই ভাষায় ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘সেই’। মানে আপনি যদি কাউকে নির্দেশ করতে চাইলে তাহলে আপনাকে সু সু শব্দটি বলতে হবে।


ড্যানিশ: এখানে ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘গোপন’। জার্মানির কিছু অংশে এই ভাষায় কথা বলা হয়।


ফ্রান্স: ফ্রান্সে ‘সু সু’ শব্দের অর্থ নাকি ‘আপনি জানেন’। মানে আপনি যদি কারো সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ‘জানেন’ দিয়ে কিছু শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে ‘সু সু’ বলতে হবে। ফ্রান্স ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশেই এই ভাষায় কথা বলা হয়।


ইন্দোনেশিয়া: ইন্দোনেশিয়ায় ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘দুধ’। সেদেশে গিয়ে কোনো ব্যক্তিকে যদি ‘সু সু’ বলেন, তিনি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আপনার কাছে হাজির হতে পারেন, বা দুধের খোঁজ দিতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.