অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ করা ক্ষতিকর

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নিজের বয়স, উচ্চতা, শারীরিক সক্ষমতা না বুঝে অনেকেই হঠাৎ করে খুব বেশি খাবার নিয়ন্ত্রণ করে, যা ভীষণ ক্ষতিকর। একেক বয়সের মানুষের খাবারের চাহিদা থাকে একক রকম। বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত বয়সের শিশু-কিশোরদের খাবারের চাহিদা হয় অনেক বেশি।


ভাত বাদ দিলে শক্তি মিলবে না


অনেকেই হঠাৎ করে ভাত খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়।


অনেকের ধারণা, হঠাৎ ওজন ও মাংসপেশির বৃদ্ধি কমানোর জন্য ভাত-রুটি বাদ দিতে হবে। ভাত-রুটি বাদ দিলে ওজন হয়তো সাময়িকভাবে কমে যাবে, কিন্তু হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি হবে দীর্ঘমেয়াদি।

ভাত-রুটি মানে হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। এজাতীয় খাবার আমাদের শক্তি জোগায়।

শর্করার মধ্যে থাকে চিনি। চিনি বা গ্লুকোজের মধ্যে রয়েছে অনেক ভাগ। দেহের জন্য সব ধরনের চিনিই দরকার। যেমন—গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ- এগুলো বিভিন্ন ধরনের চিনি।


চিনিকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। হঠাৎ মস্তিষ্কের খাবার যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে মস্তিষ্কের কোষগুলোও দুর্বল হয়ে পড়বে। সারা দেহের মাংসপেশির বৃদ্ধির জন্যও শর্করা ভীষণ জরুরি।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না


অনেকে আবার ওজন কমানোর জন্য মাছ-মাংস বাদ দিয়ে দেয়। মাংস, মাছ সব বয়সে দাঁত, হাড়, চুল, নখ মজবুত করে।


রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধশক্তি। কিশোরদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক, মধ্যবয়স্কদের জন্যও প্রাণিজ, উদ্ভিজ্জ আমিষ প্রয়োজন। মাছ, মাংস, দুধ, ডিমকে বলা হয় প্রাণিজ আমিষ। আর উদ্ভিদ থেকে আমরা যে আমিষ পাই তাকে বলা হয় উদ্ভিজ্জ আমিষ। ডাল, বিভিন্ন ধরনের শস্যজাতীয় খাবার, শিম, শিমের বীজ, ভুট্টা, ওটস, গম, যবের মধ্যে থাকে উদ্ভিজ্জ আমিষ। কিশোর বয়সে একই সঙ্গে দেহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন ও বৃদ্ধি হয়। এ জন্য সব ধরনের ভিটামিন, খনিজ লবণ, পুষ্টি দরকার।

বাড়বে চুল ঝরার প্রবণতা


নিজের দেহের চাহিদা-ঘাটতি, বয়স না বুঝে হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ করলে চুল ঝরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ত্বক হারিয়ে ফেলে তার উজ্জ্বলতা। ত্বকের পুষ্টির জন্যও প্রয়োজন নিয়মিত আমিষজাতীয় খাবারসহ সুবজ ও হলুদ রঙের শাক-সবজি। হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ করলে ওজন ঠিকই কমবে, কিন্তু সেই সঙ্গে কমতে থাকবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হাড় হয়ে পড়বে দুর্বল, যা বাইরে থেকে দেখা যাবে না। দেহ ৪০ বছর বয়সের পর থেকে দ্রুত আক্রান্ত হবে বিভিন্ন ধরনের অসুখে।


সব মানুষের খাবারের চাহিদা এক রকম নয়। নিজের বয়স, চাহিদা, বংশগত গঠন, রক্তে জরুরি উপাদানের ঘাটতি—এ বিষয়গুলো না জেনে হঠাৎ অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.