গাঁদা ফুল প্রিয় সব দেবতার! এই একটি ফুলই বাঁচাতে পারে সব বিপদ থেকে
ODD বাংলা ডেস্ক: সনাতন ধর্মে প্রতিদিন দেবতার আরাধনা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। ঈশ্বরের আরাধনা করার জন্য আমরা কেউ মন্দিরে যাই, আবার কেউ নিজের বাড়িতেই পুজোর কাজ সারি। অনেকে নিজের দোকান বা অফিসেও প্রতিদিন ছোট করে ঠাকুর পুজো করে থাকেন। আসলে ঈশ্বরের আরাধনা আমাদের মনে সুখ ও শান্তি প্রদান করে থাকে। তবে আপনি যে ঠাকুরেরই পুজো করুন না কেন, ফুল নিবেদন করতেই হয়। হিন্দুধর্মে ফুল ছাড়া ঈশ্বরের আরাধনা অসম্পূর্ণ। হিন্দুধর্মে পুজোর কাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল গাঁদা ফুল।
গাঁদা ফুলের গুরুত্ব
পুজোর কাজে গাঁদা ফুল অত্যন্ত জরুরি। যে কোনও দেবতাকেই গাঁদা ফুল নিবেদন করা যায়। আবার যে কোনও শুভ কাজেই গাঁদা ফুলের ব্যবহার অপরিহার্য। যে কোনও শুভ কাজের আগে বাড়ির বাইরে হলুদ গাঁদা ফুলের মালা ঝুলিয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে ভারতীয় সমাজে। যাঁরা ফুল দিয়ে আলপনা, তাঁরাও গাঁদা ফুল ব্যবহার করে থাকেন। হিন্দুধর্ম অনুসারে হলুদ ও জাফরানি রঙের গাঁদা ফুলকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
এর পাশাপাশি হলুদ রঙের এই ফুল আগুনের মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। আবার গেরুয়া রঙের গাঁদা ফুল ত্যাগ ও ক্ষমার প্রতীক। গাঁদা ফুলের পাতা পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। এটি সবাই মিলেমিশে থাকার গুরুত্বের কথা বোঝায়। শ্রীবিষ্ণু, মা লক্ষ্মী ও গণেশের পুজোয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাঁদা ফুলের ব্যবহার করা হয়।
পুজোয় কী ভাবে ব্যবহার করবেন গাঁদা ফুল?
* শ্রীহরি হলুদ রং খুবই পছন্দ করেন। সেই কারণে প্রতি বৃহস্পতিবার নারায়ণ পুজোয় হলুদ গাঁদা ফুল অবশ্যই নিবেদন করবেন।
* সিদ্ধিদাতা গণেশেরও হলুদ রং খুবই প্রিয়। তাই গণেশ পুজোয় হলুদ গাঁদা ফুল নিবেদন করল তিনি প্রীত হন।
* তবে ভগবানের পুজোয় সব সময় টাটকা গাঁদা ফুল নিবেদন করবেন। বাসি ফুলে ভুলেও ঈশ্বরকে নিবেদন করতে নেই।
* নিজের বাড়িতেও গাঁদা ফুলের গাছ বসাতে পারেন। বাড়িতে গাঁদা ফুলের গাছ থাকলে তা যেমন আপনার বাড়ির শোভা বৃদ্ধি করবে, তেমনই গাঁদা ফুলের শুভ প্রভাবে নেগেটিভ এনার্জি কেটে দিয়ে আপনার বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বিচরণ করবে।
Post a Comment