কিভাবে বুঝবেন আপনি ভালো শ্রোতা নন
ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার শেষ কথোপকথন সম্পর্কে চিন্তা করুন, আপনার বন্ধু যখন তাদের সর্বশেষ অ্যাডভেঞ্চারের গল্প বলছে, তখন কি আপনি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছিলেন? নাকি তখন মনে মনে ভাবছিলেন বাড়ির দরজা লাগিয়েছেন কিনা, চুলা বন্ধ করেছিলেন কিনা! যদি এমন হয় তবে অন্যরা কথা বলার সময় আপনি আপনার নিজস্ব জগতে বিচরণ করেন। সেক্ষেত্রে আপনি ভালো শ্রোতা নন। অমনোযোগী শ্রোতাকে মানুষ পছন্দ করে না। কিভাবে বুঝবেন আপনার মাঝে এ সমস্যা রয়েছে? এখানে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. ঘনঘন বাধা দেওয়া: আপনি যখন কারো কথার মধ্যে ঘন ঘন বাধা দেন তখন তাদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে যে, তারা যা বলছেন তার গুরুত্ব নেই আপনার কাছে। এমন আচরণ কথোপকথনের প্রবাহকে বাধা দেয়। একজন ভালো শ্রোতা হওয়ার জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। বক্তাকে আগে বলতে দিতে হবে।
২. বক্তার চেয়ে বেশি বলা: আপনি যখন বক্তার চেয়ে বেশি বলেন, এই আচরণটি আপনার সঙ্গীর ভালো নাও লাগতে পারে। আপনার অতিরিক্ত কথা তার বলার বিষয়কে গুরুত্বহীন করে ফেলে। এমন আচরণ ত্যাগ করার জন্য আপনার সঙ্গীকে বলার সুযোগ দিন। কিছু জানার থাকলে সরাসরি প্রশ্ন করুন।
বক্ত কী বলতে চান তা পূর্ণ মনযোগ দিয়ে শুনুন।
৩. নির্দিষ্ট বিষয়ে শোনা: অনেক সময় আপনি নিজে যে বিষয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আপনি শুধু ওই বিষয়েই শুনতে চান। এমন মানসিকতা আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে। তাই নিজের চিন্তাভাবনার সাথে মেলে না এমন বিষয়েও শুনতে অভ্যস্ত হোন।
৪. দ্রুত সমাধান দেওয়া: কখনো কখনো মানুষ শুধু চায়, কেউ তার কথা শুনুক।
তাই দ্রুত পরামর্শ বা সমাধান দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাদের আবেগ অনুভূতিকে বুঝুন। দ্রুত সমাধান না দিয়ে তাদের বোঝান যে তার অবস্থা আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি তার পাশে আছেন।
৫. সহানুভূতির অভাব: শ্রবণ শুধুই শব্দ শোনা নয়। কারো কথার মাধ্যমে তার আবেগ অনুভূতি উদ্বেগ চিন্তাভাবনা দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করাই শ্রবণ। তাই কথা শোনার সময় সঙ্গীর মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করুন। মন খুলে প্রশ্ন করুন। তাকে কথা বলার একটি পরিবেশ তৈরি করে দিন। তার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি।
Post a Comment