ভ্রমণে কফি পানে সতর্কতা
ODD বাংলা ডেস্ক: দূরে কোথাও লং ড্রাইভে গেলে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে অনেকেই সঙ্গে কফি তৈরি করে নেয়। মাঝেমধ্যেই কফির কাপে চুমুক দিতেই মনটা তরতাজা হয়ে ওঠে। কিন্তু কফি খাওয়ার পরপরই এমন তীব্র প্রস্রাবের বেগ আসে যে তা ধরে রাখাই দায় হয়ে যায়। তাই ইচ্ছা থাকলেও কফি খেতে পারে না।
আমেরিকান পুষ্টিবিদ স্যামি গিল বলছেন, কফি বা ক্যাফিনজাতীয় পানীয় পেটের মধ্যে যাওয়া মাত্রই তা হজমে সহায়ক হরমোন, এসিড এবং উৎসেচকগুলোকে উদ্দীপিত করে। ফলে অন্ত্রের ভেতরের সব কার্যকলাপ গতি পায়। শুধু প্রস্রাব নয়, মলত্যাগের বেগও আসতে পারে।
তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১. গাড়িতে ওঠার আগে বা উঠেই কফি খাওয়া যাবে না। গাড়ি চালাতে চালাতে মাঝপথে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতেই হয়। তার কিছুক্ষণ আগে কফি খেলে আলাদা করে প্রস্রাবের জন্য গাড়ি থামাতে হবে না। তাই বিরতির একটু আগে কফি খাবেন।
২. দুধ দেওয়া কফি বা কফির সঙ্গে আলাদা করে ক্রিম খেলে শৌচাগারে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। কারণ এ ধরনের কফি খেলে অন্ত্রের ভেতরের কার্যকলাপ বেড়ে যায়। ক্রিমের মধ্যে থাকা ফ্যাট হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই দুধ ছাড়া কালো কফি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসবে না।
৩. অনেকেই চিনি ছাড়া কফি খেতে পারেন না।
কিন্তু এই ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে চিনি খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদরা। তাই চিনি বাদ দিয়ে কফি খেতে হবে।
Post a Comment