সারা জীবনে কত টয়লেট পেপার ব্যবহার করে একজন মানুষ?

ODD বাংলা ডেস্ক: টয়লেট পেপারের ইতিহাস ঠিককতটা পুরোনো, তা অবশ্য বিস্তারিত আলাপের ব্যাপার। ৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এক চৈনিক মনীষীর লেখায় টয়লেট পেপারের উল্লেখ পাওয়া যায়। ইতিহাসে দেখা যায়, ১৪০০ শতকের দিকে চীনে ব্যাপক হারে টয়লেট পেপার উৎপাদন শুরু হয়।

পরে ১৮৫৭ সালে আমেরিকান উদ্ভাবক জোসেফ গ্যাটি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে টয়লেট পেপার বাজারজাত করেন। এরপর নানা পথ পেরিয়ে ১৯৩৫ সালে বাজারে আসে মসৃণ ও নরম টয়লেট পেপার। এর আগে টয়লেট পেপারে নানা সমস্যা ছিল। জল শোষণক্ষমতা ছিল খুবই কম এবং বেশ শক্তও ছিল।

হাল আমলে আমরা হয়তো টয়লেট পেপার ছাড়া প্রকৃতিক ক্রিয়াকর্মের কথা ভাবতেই পারি না। কিন্তু এখনো বিশ্বজুড়ে ঠিক কী পরিমাণ মানুষ টয়লেট পেপার ব্যবহার করে না- তা কি আন্দাজ করতে পারেন?

টয়লেট পেপার হিস্ট্রি ডটকম জানাচ্ছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষই টয়লেট পেপার ব্যবহার করে না। তবে টয়লেটে ব্যবহার না করলেও প্রচুর মানুষ হাত-মুখ মোছা থেকে খাবারের টেবিল, থালা-বাসন, চশমার কাচ, নাক পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতায় ব্যবহার করে। এর প্রয়োজনীয়তা আছে বটে, তবে এর জন্য যে কী পরিমাণ বৃক্ষনিধনের দরকার হয়, তা কিন্তু ভাবতেও পারবেন না। ছোট্ট একটি তথ্য দিলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।


সূত্র বলছে, একজন মানুষ সারা জীবনে যে পরিমাণ টয়লেট পেপার ব্যবহার করে, তা উৎপাদন করতে ৩৮৪টি গাছের দরকার হয়।


গত ২৬ আগস্ট ছিল টয়লেট পেপার দিবস। যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালিত হয়। আর আপনি এখনই কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিদিনই দিনটি পালন করতে পারেন। সিদ্ধান্ত নিন, টয়লেট পেপার ব্যবহারে সচেতন হবেন। অযথা টয়লেট পেপার নষ্ট করবেন না। যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ নোংরা করবেন না।

উল্লেখ্য, আমাদের মানতেই হবে যে, মানবসভ্যতায় টয়লেট পেপার অনন্য এক সংযোজন। কিন্তু এটি আবিষ্কারে আগে মানুষ প্রকৃতিক ক্রিয়াকর্মের পর কী ব্যবহার করত? জল বা বরফ তো ছিলই, তালিকায় আছে আরো অনেক কিছু। পশুর লোম, গাছের পাতা, ভুট্টার শাঁস, ঘাস, খড়কুটা, নারকেলের খোসা এমনকি কাঠি বা লাঠিও ব্যবহার করত মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.