কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবেন যেভাবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের জীবনের অনেকটা সময় কর্মক্ষেত্রে ব্যয় হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটা জরুরি। এতে আপনার কাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে সহকর্মীদের কাছ থেকে নানা সহায়তা পাবেন।


কাজেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। কর্মক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং বজায় রাখতে ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।

১. যোগাযোগ রাখা 

সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক তৈরি সহজ হয়। মিটিংয়ের আগে বা পরে সবার সঙ্গে কথা বলুন।


এ সময় একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী থাকে। ফলে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২. একে অপরকে জানার চেষ্টা করা 

ভালো সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সহকর্মীদের ভালোভাবে জানতে পারা। তাদের সঙ্গে যেকোনো কাজে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন।


একে অপরকে জানার চেষ্টা না করলে কখনোই সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে না। 

৩. অন্যের কথা শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে 

মনোযোগ সহকারে অন্যের কথা শোনা সম্পর্ক গড়ে তোলার কার্যকর চাবিকাঠি। কার্যকর যোগাযোগের জন্য ভালো শ্রোতা হতে হবে। 


৪. অফিসের রাজনীতি বা পরচর্চা এড়িয়ে চলা

কর্মক্ষেত্রে রাজনীতি বা পরচর্চা থাকে। এটি আপনার কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে পারে।


নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে রাখা ভালো। কাউকে উদ্দেশ করে বা ছোট করে কথা বলার বদভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।  

৫. প্রশংসা করা 

যারা প্রশংসনীয় কাজ করছেন বা ইতিবাচক অবদান রাখছেন, তাদের প্রশংসা করতে হবে। সেটা হাতে লিখে বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো যেতে পারে। সহকর্মীরা তার ভালো কাজের প্রশংসা পেলে আপনাকে মনে রাখবে। 


৬. কাজের ফাঁকে আড্ডা  

কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক গড়ে তোলার সর্বোত্তম উপায় হলো লাঞ্চ বা অন্য কোনো বিরতিতে হালকা আড্ডায় অংশ নেওয়া। একসঙ্গে দুপুরের খাবার বা চা খাওয়া এবং একে অপরের সম্পর্কে জানতে তাদের সময় দিন।


৭. ইতিবাচক মনোভাব থাকা 

সবাই ইতিবাচক মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। ইতিবাচক বিষয়গুলো খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি এমন শক্তি, যা আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। সব সময়  হাসিখুশি এবং প্রফুল্ল থাকতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব সম্পর্ককে উন্নত করবে। 


৮. বিশ্বাস তৈরি করা 

যেকোনো সম্পর্কের বৃদ্ধির জন্য বিশ্বাস তৈরি করতে হবে। অন্যকে বিশ্বাস করতে হবে এবং অন্যের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.