শিশু কি একেবারেই খেতে চায় না? যা করতে পারেন



 ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার শিশু কি সব সময় না খাওয়ার অজুহাত খুঁজতে থাকে? আপনার শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? এসব প্রশ্ন যদি আপনাকে প্রতিনিয়ত চিন্তিত করে, তবে মিলিয়ে নিন নিচের বিষয়গুলো আপনার শিশুর সঙ্গে ঘটছে কি না? আর সেসব সমাধানের উদ্যোগ নিন।


♦  সকালের নাশতা কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। এটি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের বা যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্যই নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সকালে নাশতা দিনের বাকি অংশের জন্য এটি সুস্থতার ভিত রচনা করে।


একটি ভালো এবং স্বাস্থ্যকর সকালের নাশতা খাওয়ার ফলে রাতের পরে উপবাস ভেঙে যায়, তাদের বিপাক শুরু হয় এবং তাদের ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।

♦  শিশুদের আয়রনের মাত্রার দিকে নজর রাখুন। আয়রনের ঘাটতি থাকলে শিশুর ক্ষুধা কমে যায়। তাই শিশুর ক্ষুধা বাড়াতে তার খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।


আয়রনসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—পালংশাক, ডিম ও মসুর ডাল রাখতে পারেন। এই খাবারগুলো শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। সেই সঙ্গে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার রাখুন।

♦  খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে শিশুদের জল পান করান।


এক গ্লাস জল দিয়ে আপনার শিশুর দিন শুরু করুন। এ ছাড়া অন্যান্য সময়েও খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে তাদের জল পান করান। এই মৌলিক বিষয়গুলো দারুণ কাজ করে। জল হজমের রস এবং এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, যা ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়।

♦  শিশুদের খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।


জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং এটি অনেক শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রয়োজন। যেমন—রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে এই জিংকের ঘাটতি হলেও কিন্তু শিশুদের ক্ষুধা হ্রাস, ওজন হ্রাস, ডায়রিয়া এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শিশুর ক্ষুধা বাড়াতে আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—কুমড়ার বীজ, বাদাম, পালংশাক, মটরশুঁটি ও মাশরুম যোগ করতে পারেন।

♦  প্রতি দুই ঘণ্টায় শিশুদের খাবার দিন। শিশুদের সারা দিন পড়াশোনা এবং খেলাধুলা করার জন্য শক্তি প্রয়োজন। আপনার শিশু যদি ক্ষুধার্ত না হয় বা খেতে না চায়, তাহলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর তাকে ছোট স্ন্যাকস খাওয়ান। তিন বেলার বড় খাবার ওদের সাহায্য না-ও করতে পারে। তাই তাদের ক্ষুধা উদ্দীপিত করতে বা বাড়াতে প্রতি দুই ঘণ্টায় তাদের ছোট আকারে স্ন্যাকস দিন। হালকা নাশতা হিসেবে বাদাম দিতে পারেন। চিনাবাদাম শিশুদের ক্ষুধা বাড়ায় এবং একই সঙ্গে প্রোটিন তৈরিতেও সাহায্য করে।


এই মৌলিক নিয়মগুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে আপনার শিশু স্বাস্থ্যকর, পর্যাপ্ত খাবার এবং সঠিক সময়ে খেতে শিখবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.