কেমন হবে শিশুর টিফিন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাচ্চাদের রোজ স্কুলের টিফিন দেওয়া বেশ চিন্তার একটি কাজ বাবা-মায়ের জন‍্য। তারা বাচ্চাদের পছন্দের জিনিসগুলো টিফিনে দিতে চান যেন বাচ্চারা পুরো খাবার খেয়ে নেয়। কোনদিন তারা একটা খাবার খুব পছন্দ করে খায়, পরদিন আর সেটি খেতে চায় না। তাই টিফিনের পদে নতুনত্ব আনার চেষ্টা থাকে অভিভাবকদের।


অনেক সময় এমন সব খাবারও শিশুর টিফিনে দেওয়া হয় যেগুলো আসলে তার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো শিশুর টিফিনে না দেওয়াই ভালো এবং কোন খাবার দিলে শিশু সুস্থ থাকবে।


১. ইন্সট্যান্ট নুডলস

এটি বানাতে অনেক কম সময় লাগে। বাচ্চারাও খেতে পছন্দ করে।


ফলে অনেকেই শিশুর বায়না মেটাতে এই ধরনের খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাচ্চাদের এই ধরনের চটজলদি খাবার না খাওয়ানোই ভাল। এ ধরনের নুডলসে কোনো পুষ্টি উপাদান থাকে না। এটি শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর।

২. বাসি খাবার

আগের রাতে বিরিয়ানি, পোলাও সকালে গরম করে শিশুর টিফিনে না দেওয়াই ভালো। সেটি শিশুর প্রিয় খাবার হলেও না। ছোটদের হজম ক্ষমতা কম থাকে। চিকিৎসকদের মতে, বাসি খাবার শিশুদের খাওয়ানো ঠিক নয়।


৩. ভাজা খাবার

তেলে ভাজা পরোটা, চপ, ফ্রাইড চিকেনের মতো খাবারগুলি বাচ্চাদের শরীরের পক্ষে ভাল নয়।


অত্যধিক তেলযুক্ত খাবার খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

৪. প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস

পিৎজা, হটডগ, চিকেন প্যাটিস, বার্গার, চিপস এগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবার। বাচ্চারা সবচেয়ে পছন্দ করে এই খাবারগুলি খেতে। এই খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। এ ছাড়াও লবণ, চিনিও রয়েছে অনেক পরিমাণে। শিশুর ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই খাবারগুলি যথেষ্ট। 


৫. মিষ্টি খাবার

শিশুর টিফিনে মিষ্টি, গুড় ও চিনিযুক্ত খাবার দেবেন না। এসব খাবারে রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ থাকে। যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই শিশুকে এ ধরনের খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।


তাহলে যা দিতে পারেন শিশুর টিফিনে

স্কুলের টিফিনে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ও মিনারেলের সমতা থাকতে হবে। যা শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করবে। কোনো দিন শিশুকে স্যান্ডউইচ (সবজি/মুরগি/ডিমের সাথে শসা, টমেটো, পনির, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি) দেওয়া যেতে পারে। আবার কোনো দিন সবজি দিয়ে বানানো খিচুড়ি বা সবজি ও ডিম দেওয়া নুডলস বা পাস্তা থাকবে টিফিনে। ফলের মাঝে আপেল, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, পাকা পেঁপে, আম, লিচু, আঙুর, মাল্টা, কমলা, তরমুজ, নাশপাতি, খেজুর, বাদাম, কিশমিশ, গাজর, আনারস ইত্যাদি। মনে রাখবেন, টিফিন যা দেওয়া হোক না কেন, তা হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং বাচ্চা যতটুকু খেতে পারবে ততটুকুই। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.