ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে লং কোভিড, ত্বকের ওপরে ফুলে উঠছে শিরা



 ODD বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের মারণ প্রকোপ সারা বিশ্ব জুড়ে কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত সামান্য কিছু আক্রান্ত অথবা মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও অধিকাংশ জায়গাতেই করোনার প্রভাব এখন বেশ কম। কিন্তু, ভাইরাস যেভাবে নিজের চরিত্র বদল করে করে মানবদেহের ক্ষতিসাধন করা থামাচ্ছে না, সেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন সারা বিশ্বের চিকিৎসকরা। চলতি বছরের মধ্যভাগ থেকে আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে করোনার পরবর্তী ধাপ। চিকিৎসার ভাষায় যাকে ‘লং কোভিড’ নামে উল্লেখ করা হচ্ছে।


‘লং কোভিড’ রোগের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা এর আগে মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছিলেন। কোনও বিষয়ে চিন্তা করতে, মনে রাখতে অথবা লম্বা কথোপকথন চালিয়ে যেতে তাঁদের সমস্যা হত। সেই রোগটির নাম ছিল মস্তিষ্কে ধোঁয়াশা, অর্থাৎ Brain Fog। এটিও কোভিড পরবর্তী ধাপ বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। ব্রেন ফগের পর এবার দেখা যাচ্ছে Blue Leg অর্থাৎ, নীল পা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে অ্যাক্রোসায়ানোসিস (Acrocyanosis) বলা হচ্ছে। একজন ৩৩ বছর বয়সী পুরুষের দেহে এই রোগ ধরা পড়েছে। 

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লিডসের গবেষণায় দেখা গেছে যে, সোজা হয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে ওই ব্যক্তির পা প্রথমে লাল হতে শুরু করছে, তারপর ধীরে ধীরে আরও কিছুক্ষণ পর দুটো পা একেবারে নীল হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাইই নয়, ত্বকের ওপর দিয়ে তাঁর পায়ের সমস্ত শিরা- উপশিরা স্পষ্ট হয়ে ফুলে উঠছে এবং দুটো পা বেশ ভারী হয়ে উঠছে। তিনি দুটো পায়ে প্রচণ্ড চুলকানিও অনুভব করছেন। কিন্তু, যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা হচ্ছে, শুধুমাত্র ততক্ষণই এই অস্বস্তি বজায় থাকছে। বসে পড়লে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটো পা সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে এবং আরও কোনওরকম সমস্যা স্থায়ী হচ্ছে না। 

ব্রেন ফগের মতো ব্লু লেগ-এর ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা জানতে পারছেন যে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই রোগ দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ, এই ব্যক্তি লং কোভিডে আক্রান্ত। দাঁড়িয়ে থাকলে হৃৎস্পন্দন মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, যার দরুন প্রবলভাবে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাচ্চে। চিকিৎসার ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে, পসচারাল অর্থোস্ট্য়াটিক ট্রায়াকার্ডিয়া সিনড্রোম। কোভিড থেকে সেরে উঠলেও কোভিড- পরবর্তী রোগগুলি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না করোনা-জয়ীরা। গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন লং কোভিডের আশঙ্কায় রয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.