ক্লান্তি দূর করে যেসব খাবার
ODD বাংলা ডেস্ক: একটানা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে একঘেয়েমি আসা স্বাভাবিক। এমন সময় আর কাজ করতে ইচ্ছে করে না। কাজের গতিও কমে যায়। দিনের শুরুতে যে চনমনে ভাবটা থাকে সেটা তখন তলানিতে গিয়ে ঠেকে। শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে । এই সময় অনেকেই নিজেকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন ফাস্টফুড, চিপ্স, চকোলেট,বিস্কিটকে আপন করে নেন। এই মজাদার খাবারগুলো আপনাকে সাময়িক আনন্দ দান করে এবং পেট ভরাতে সাহায্য করলেও শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। প্রতিনিয়ত এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ক্লান্তি দূর করতে এমন খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো শরীরের ক্ষতি না করে আপনাকে সুস্থ রাখতে ও কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে যে ফ্যাট রয়েছে তা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এই ফ্যাট শরীর ও মনকে চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে। এই বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখতে কাঠবাদাম খেতে পারেন।
কলা
পুষ্টিবিদরা সকালের খাবারে একটি কলা রাখতে বলেন কারণ কলায় আছে কার্বোহাইড্রেট। সে জন্য একটি কলা খেলে বহু ক্ষণ খিদে পায় না। যার ফলে বার বার খাবার প্রবণতাও কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
মাখনা
পদ্মফুলের বীজ মাখনা নামে পরিচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন মাখনা। মাখনায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে যা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করতে করে।
আপেল
পুষ্টিবিদের মতে শরীর চাঙ্গা রাখতে চাইলে কফির বদলে আপেল বেশি কার্যকরী। আপেলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরে শক্তি জুগিয়ে ক্লান্তি দূর করে। এছাড়া আপেল শরীরের রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
কিশমিশ
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে সাহায্য করে। আবার কজের গতি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। শুকনো কিশমিশের পাশাপাশি জলে ভেজানো কিশমিশও শরীরের জন্য উপকারী। একটি গ্লাসে ৫-৬ টি কিশমিশ সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা জলসহ কিশমিশগুলো খেলে সারাদিন সহজে ক্লান্তি আপনাকে কাবু করতে পারবে না।
ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট বাড়াতে যা খেতে হবে
অন্যের উপকার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়!
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে তুলসী পাতা
Post a Comment