শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের রীতি শুরু যেভাবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নারীদের শাড়ি পরার রীতির সঙ্গে ব্লাউজের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। একরঙা, ছাপা নকশা, ব্লক, রিবন ওয়ার্কের সুতি কিংবা জর্জেট শাড়ি, মণিপুরি-জামদানি অথবা অন্য যে কোনো ধরনের শাড়ির সৌন্দর্য বাড়ায় ব্লাউজ।

তবে আগে শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বাছাই করা হলেও, এখন জমকালো ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নেওয়া হয় শাড়ি। একটি কিংবা দুটি ব্লাউজের সঙ্গে অনেকে বেছে নেন কয়েকটি ভিন্ন রঙের শাড়ি।


তাছাড়া শাড়ির রঙের সঙ্গে মিল না রেখেও অনেকে ক্রপ টপ, টি-শার্ট, টপসের সঙ্গে পরেন শাড়ি। এখন ফ্যাশনের পালে লেগেছে ফিউশনের হাওয়া। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনাররা করছেন বিভিন্ন ধরনের নকশা।


আজ থেকে ৩০, ৪০, ৫০ বছর পেছনে তাকালে দেখা যাবে এ দেশের নারীরা ব্লাউজবিহীন শাড়ি পরতেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ছোট্ট এ পোশাকটি এ উপমহাদেশে ছিলই না। কীভাবে এলো, তা নিয়েও আছে মতভেদ।


কথিত আছে, ইংরেজরা যখন ভারতবর্ষ শাসন করেছে, তখন রানী ভিক্টোরিয়া প্রথম শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ব্যবহার করেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে এখানকার মানুষ তা আয়ত্ত করেছে। পরবর্তী সময়ে সিনেমার নায়িকাদেরও স্লিভলেস, ছোট হাতার ব্লাউজ পরতে দেখা গেছে। এ তো গেল একটি মত।


প্রচলিত আছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজো ভাই সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী স্বামীর সঙ্গে গুজরাটে গিয়ে পার্সি নারীদের শাড়ি পরার ধরন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুনভাবে শাড়ি পরা শুরু করেন। তিনি শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ও স্কার্ট পরতেন। তিনি যে ব্লাউজ পরতেন তাতে ছিল ফ্রিল, লেইসের ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্লাউজের কাট, নকশা, হাতার দৈর্ঘ্য, গলার ডিজাইন সবকিছুতে এসেছে নানা পরিবর্তন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.