চিনির বদলে মধু খাচ্ছেন?
ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই অত্যন্ত সচেতন। এ কারণে তারা ডায়েট থেকে শুরু করে এক্সারসাইজ, সবই করেন নিয়ম মেনে। যারা ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত তাদের মধ্যে কেউ কেউ চিনির বদলে নিয়মিত মধু খান। অনেকের মতে, চিনির তুলনায় মধু কয়েকগুণ উপকারী। মধু খেলে ছোট-বড় রোগে পড়ার আশঙ্কাও কমে।
চিনির বদলে মধু খাওয়া উপকারী কিনা তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ‘চিনি’: ঈশানীর কথায়, চিনি হল প্রক্রিয়াজাত খাবার। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ছাড়া আর কিছুই নেই। এ কারণে চিনিকে ‘এম্পটি ক্যালোরিও’ বলা হয়। অর্থাৎ এই খাবারে কার্বহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনও ভিটামিন, খনিজ বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নেই। তাই নিয়মিত চিনি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে রক্তে শর্করা থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল, এমনকী ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।
গুণে ভরপুর মধু: মধুতে কার্বহাইড্রেট রয়েছে। এর পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়াম, বি ভিটামিন থেকে শুরু করে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে। এছাড়া একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এফেক্ট। তাই নিয়মিত মধু খেলে ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখের আশঙ্কা কমে। এ কারণে বিশেষজ্ঞদের একাংশ নিয়মিত মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মধু না চিনি, কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, চিনির চেয়ে মধু খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। তাই চিনি পরিবর্তে মধু খেলে যে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এটা নিশ্চিত।
তবে এটাও ঠিক, চিনির বদলে মধু খেলেও তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কারণ ১ চামচ চিনিতে ১৫ ক্যালোরি থাকলে, ১ চামচ মধুতে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ ক্যালোরি। তাই মধু বেশি খেলেও যে রক্তে শর্করার পরিমাণ এবং ওজন বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তিরা চিনির বদলে দিনে ১ থেকে ২ চামচ মধু খান। আর ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই এসবের বিকল্প বেছে নিন।
ভেজাল মধু: আজকাল খাঁটি মধুর সন্ধান পাওয়া কঠিন। যেসব মধু খাঁটি বলে বিক্রি হয়, তার অধিকাংশতেই ভেজাল মেশানো থাকে। এ কারণে অপরিচিতি, অবিশ্বাসযোগ্য কোনও জায়গা থেকে মধু কেনা ঠিক নয়। বরং পরিচিত বা নামি সংস্থার মধু কিনুন।
Post a Comment