মহালয়ার দিনেই এই বছরের দ্বিতীয় সূর্য গ্রহণ! দেখা যাবে ভারত থেকে?



 ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্যগ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছরই সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। যখনই সূর্য বা চাঁদে গ্রহণ লাগে, তার প্রভাব বিভিন্ন রাশির জাতকদের উপর পড়ে থাকে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণকে অশুভ ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়।


এই বছরে মোট চারটি গ্রহণ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ। একটি সূর্যগ্রহণ ও একটি চন্দ্রগ্রহণ ইতিমধ্যেই সংঘটিত হয়েছে। এই বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার। সেদিন গ্রহণ লাগবে রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে এবং গ্রহণ ছেড়ে যাবে ১৫ অক্টোবর রাত ২টো ২৫ মিনিটে। পঞ্জিকা অনুসারে সেদিন হল আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি। এই দিনেই পালিত হবে মহালয়া। এদিন থেকে পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু হবে দেবীপক্ষ।


আগামী ১৪ অক্টোবর কন্যা রাশি ও চিত্রা নক্ষত্রে গ্রহণ লাগবে সূর্যে। এটি হবে বলয়গ্রাস সূর্য গ্রহণ। একে কঙ্কনাকৃতি সূর্যগ্রহণও বলা হয়ে থাকে। অর্থাত্‍ সেদিন আকাশে কঙ্কন বা চুড়ির আকারে দেখতে লাগবে সূর্যকে। এই সময় চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব এমন হয়, যাতে চাঁদ ঠিক সূর্যের মাঝামাঝি চলে আসে। আর সেই কারণে মেয়েদের হাতের সোনার কঙ্কনের মতো দেখতে লাগে সূর্যকে।


তবে ভারতে যখন রাত, সেই সময় সূর্যে গ্রহণ লাগবে বলে আমাদের দেশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না। সেই কারণে গ্রহণের কোনও সূতক কালও আমাদের দেশে কার্যকরী হবে না। মহালয়ায় যে পিতৃতর্পণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে, গ্রহণের কারণে তাতে কোনও রকম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না।


এই বছর প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। তারপর ৫ মে হয় চন্দ্রগ্রহণ। তবে এই দুটি গ্রহণই ভারত থেকে দেখা যায়নি। আগামী ১৪ অক্টোবর হবে এই বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ। তার ১৫ দিন পরে ২৯ অক্টোবর হবে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি চলে আসে, তখনই সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়তে বাধা পায়। তার ফলেই সূর্য গ্রহণ হয়ে থাকে।


আগামী ১৪ অক্টোবরের গ্রহণ দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, কিউবা, পেরু, উরুগুয়ে ইত্যাদি। দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, দমিনিকা, বাহামাস থেকেও গ্রহণ দেখা যাবে। এই সূর্য গ্রহণে ফলে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প, সুনামি, বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমনকি কোনও কোনও দেশে গ্রহণের অশুভ প্রভাবে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সীমান্ত সমস্যা মাথা তুলতে পারে। বিমান দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা করছেন জ্যোতিষবিদরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.