বাদাম নাকি ছোলা?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হালকা ব্রেকফাস্ট হিসেবে ছোলা এবং বাদাম দুটিই জনপ্রিয়। দুটি খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুই খাবারকে কেন্দ্র করেও দ্বন্দ্বও কম নেই। কেউ ছোলা খেতে পছন্দ করেন, কারও আবার প্রিয় বাদাম। কিন্তু এই দুই খাবারের স্বাদ নিয়ে চর্চা হলেও গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা হয় না।


ছোলা না বাদাম কোনটা খেলে বেশি উপকার মিলবে তা জানিয়েছেন ভারতের কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার।


পুষ্টির ভাণ্ডার ছোলা: ছোলায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজ। এটি প্রোটিনেরও ভাণ্ডার।  এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, নতুন কোষ তৈরি থেকে শুরু করে পেশির গঠন, প্রদাহ প্রশমিত করার মতো কাজে উপকারী ছোলা। এ কারণে নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন।


পুষ্টিকর বাদাম: বাদামে ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়ামসহ একাধিক জরুরি উপাদান রয়েছে। এছাড়া বাদাম খেলে কিছুটা পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও পাওয়া যায়। এই উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা থেকে শুরু করে হৃৎপিণ্ডের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এ কারণে সুযোগ পেলেই বাদাম খেতে পারেন।


বাদাম না ছোলা, কোনটা বেশি উপকারী?


এ ব্যাপারে মীনাক্ষী মজুমদার জানান, বাদাম ও ছোলা দুইই অত্যন্ত উপকারী। তাই এই দুইয়ের মধ্যে কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখা যাবে না। বরং প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবার দুটি রাখতে পারলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব হবে। তবে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা অন্যান্য কোনও পেটের সমস্যা থাকলে বাদাম বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। কারণ বাদাম হজম করা একটু কঠিন। সেক্ষেত্রে ছোলা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। এতেই উপকার মিলবে।


খোসা শুদ্ধ ছোলা-বাদাম খান​


অনেকেই কিন্তু বাদাম বা ছোলা ভাজা খাওয়ার সময় খোসা ছাড়িয়ে খান। এটা ঠিক নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। তাই খোসা ছাড়িয়ে বাদাম ও ছোলা খেলে একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের সুফল থেকেই বঞ্চিত হবেন।


ছোলা ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া কি উচিত?


ছোলা ও বাদাম একসঙ্গে খেলে আরও বেশি উপকার মিলবে বলে জানালেন মীনাক্ষী মজুমদার। এক্ষেত্রে এক বাটি ছোলায় ১০ থেকে ১২টি বাদাম মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  তবে তার মতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টির বেশি বাদাম খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.