সানস্ক্রিনের বিকল্প খুঁজছেন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয় । কড়া রোদে পোড়া এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে (যেমন বলিরেখা, চামড়াযুক্ত ত্বক )। সানস্ক্রিন ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এবং কিছু ওষুধের (টেট্রাসাইক্লাইন, সালফা ওষুধ, ফেনোথিয়াজাইন যেমন ক্লোরপ্রোমাজিন সহ) দ্বারা রোদে পোড়া-জাতীয় ত্বকের প্রতিক্রিয়া (সূর্য সংবেদনশীলতা) কমাতেও সাহায্য করে।সানস্ক্রিনের সক্রিয় উপাদানগুলি হয় সূর্যের আলো শোষণ করে। 


অতিবেগুনী (UV) বিকিরণ , এটিকে ত্বকের গভীর স্তরে পৌঁছাতে বাধা দেয়, বা বিকিরণ প্রতিফলিত করে।সানস্ক্রিন মানে এই নয় যে আপনি রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকতে পারবেন। সানস্ক্রিনগুলো সূর্যের সমস্ত বিকিরণ থেকে রক্ষা করতে পারে না৷ বিভিন্ন ধরণের সানস্ক্রিন বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় (যেমন ক্রিম, লোশন, জেল, স্টিক, স্প্রে, লিপ বাম)৷ তবে স্পর্শকাতর ত্বক হলে বাজারচলিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেও মুশকিলে পড়তে হয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে সানস্ক্রিন ব্যাবহারের পরিবর্তে বিশেষ কিছু খাবার খেতে পারেন।


গ্রীষ্মে তো বটেই, বর্ষা, শীত এমনকি সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যাবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকের ট্যান পড়া আটকাতে এর থেকে ভালো হাতিয়ার কিছু হতে পারে না। তবে সানস্ক্রিন মানেই তো সেই বাজারচলিত প্রসাধনী। নানা রকম রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে তাতে। সেই উপাদানগুলো ত্বকের জন্য উপকারী কি না, তা স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বক হলে তো আরও মুশকিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে সানস্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি।


গাজর

নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক হবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজর ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়। ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।


লেবুর রস

ভেতর থেকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্নেও এর কার্যকারিতা অনেক। ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা করে ত্বক। সহজে ট্যান পড়তে দেয় না। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতেও লেবুর রসের ভূমিকা অন্যতম।


গ্রিন টি

ওজন কমাতে গ্রিন টি পান করেন অনেকেই। গ্রিন টি শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায়ই নয় বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও দারুণ কার্যকর। এ কারণে এখন শুধু পানীয় হিসেবে নয়, এটি ব্যবহার হচ্ছে রূপচর্চার সামগ্রী হিসেবেও। গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নানাবিধ এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-সহ বেশকিছু উপাদান। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে গ্রিন টি। এ ছাড়া ত্বকের দাগ–ছোপ, কাটা দাগ, লালচে ভাব কমাতেও এটি সাহায্য করে।


টমেটো

ত্বকের যত্নে টমেটো ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ট্যান আটকানোর আরও একটি উপায় হল টমেটো। সূর্যের আলো থেকে ত্বকের যে সমস্যাগুলো হয়, তার অধিকাংশের সমাধান পাওয়া যায় টমেটোতে। সূর্যের আলো থেকে নির্গত ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে টমেটো। টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক। টমেটোতে 'লাইসোপিন' নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও শুষ্কভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করে। এটি সানস্ক্রিন হিসেবেও দারুণ কার্যকর।


ডাবের জল

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ডাবের জল খুবই উপকারী। নিয়মিত পান করলে শরীর ভালো থাকে, সেই সঙ্গে ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতেও ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। ডাবের জল পান করলে উপকার তো আছেই। সেই সঙ্ঘে ত্বকে ব্যাবহারের ফলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.