হাই হিলের কারণে পায়ে ব্যাথা বা ফোসকার সমস্যা, সমাধান মিলবে ঘরোয়া টোটকায়
ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মহিলারাই হাই হিল পরতে পছন্দ করেন। হাই হিল ব্যক্তিত্ব বাড়াতে পারে। এই জুতোগুলি পরার পরে লম্বা দেখায় এবং পার্সোনালিটিও বদেল দেয়। শপিং বা অফিসে এগুলি পরতে পছন্দ করেন অনেকেই। মহিলারা স্টাইলিশ দেখতে অনেক উপায় চেষ্টা করে, যার মধ্যে একটি হল হাই হিল পরা। এটি মহিলাদের স্টাইলিশের পাশাপাশি গ্ল্যামারাস লুক দিতে সাহায্য করে। আগে একটা সময় ছিল, যখন শুধুমাত্র মডেল বা অভিনেত্রীরা এই ধরনের স্টাইল মেনে চলতেন।
হিল স্টাইলিশ লুক দিতে পারে, কিন্তু এগুলো পরলে পায়ে সমস্যাও হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা হিল পরার কারণে ফোসকা, বা ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা হতে শুরু করে। এই জুতোয় পায়ের শিরায় ফুলে যাওয়া, ব্যথা, কফি টানটান হওয়ার মতো সমস্যাও সৃষ্টি করে। পায়ের ঠিকমতো যত্ন না নিলে এই সমস্যাটা বেশি বিরক্তিকর। এখানে আমরা আপনাকে কিছু স্বাস্থ্য টিপস জানাতে যাচ্ছি, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি হিলের কারণে ব্যথা বা আঘাতের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারবেন।
এই স্বাস্থ্য টিপস অনুসরণ করুন
হিল কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন :
হিল কেনার সময়, তাদের আকার নিখুঁত হওয়া উচিত। এমনকি আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা হিলও পায়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের পায়ের আকার ভিন্ন। আপনার পা যদি চওড়া হয়, তাহলে আপনার আঁটসাঁট হিল পরা উচিত নয়।
দাঁড়ানোর পদ্ধতি:
আপনার যদি হাই হিল পরার অভ্যাস থাকে এবং প্রায়ই পায়ে ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে আপনাকে আপনার ভঙ্গি অর্থাৎ দাঁড়ানো এবং হাঁটার ভঙ্গি উন্নত করতে হবে। হাঁটার সময় মাথা সোজা রাখতে হবে এবং এই সময় মাটির দিকে তাকানো এড়িয়ে চলতে হবে।
সেলফ ফুট ম্যাসাজ:
পা যদি প্রতিদিন বিশ্রাম পায়, তাহলে তাদের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নারকেল তেল দিয়ে পায়ের নীচে ম্যাসাজ করুন। এই পদ্ধতিটি কেবল পায়ে স্বস্তি দেবে না, আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবেও শান্তি পাবেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে একবার হালকা হাতে পা ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না।
পেশী ব্যায়াম:
আপনি যদি নিয়মিত হিল পরেন, তাহলে আপনি পেশী প্রসারিত ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিটি পায়ের ব্যায়াম ৬০ সেকেন্ডের জন্য করুন এবং এটি দিনে ২ থেকে ৩ বার করুন। এর ফলে পায়ে ব্যথার সমস্যা হবে না এবং আঘাতের ঝুঁকিও কমবে।
Post a Comment