ওমের চেয়ে শক্তিশালী এই মন্ত্র, জপ করলেই দূর হবে সমস্যা, পাবেন শিবের সান্নিধ্য!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে মন্ত্রোচ্চারণ ও ধ্যানযোগের বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত। ধ্যান করলে ব্যক্তি মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারে। আবার ধ্যান বা নির্দিষ্ট কিছু প্রাণায়ামের সময়ে ওম উচ্চারণ করলে আরও সুফল পাওয়া যায়। সঠিক পদ্ধতিতে ধ্যানের সময়ে মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তির মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং অনুভব করা যায় যে ব্যক্তি ঈশ্বরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে।


শাস্ত্র মতে ওমের চেয়েও বেশি এক শক্তিশালী মন্ত্র হল সোহম মন্ত্র। ধ্যানের সময় এই মন্ত্র জপ করলে অধিক সুফল পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে সোহম সাধনা বলা হয়। সোহম মন্ত্র জপ করার সঠিক পদ্ধতি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল এখানে।


সোহম মন্ত্র জপের পদ্ধতি ও উপকারিতা


শাস্ত্র মতে সোহম মন্ত্র জপ করার ফলে একাগ্রতা, স্পষ্টতা ও আন্তরিক স্থায়ীত্ব বিকশিত হয়। এর ফলে ব্যক্তির মস্তিষ্ক সচেতন ও জাগরিত হয়, রাগ কমে। এই মন্ত্র ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রিত ও সংযমিত রাখে। শাস্ত্র মতে নিয়মিত এই মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তি ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করতে পারেন।


শাস্ত্র মতে, সোহম শব্দটি শিবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শ্বাসগ্রহণের সময়ে মনে মনে সো উচ্চারণ করবেন, আবার ত্যাগ করার সময়ে হম শব্দ উচ্চারণ করে অন্তরে একর অনুরণন সৃষ্টি করবেন। সো শব্দের অর্থ উচ্চতর চেতনা এবং হম শব্দের অর্থ অহংকার বা ইগো। শ্বাস গ্রহণের সময়ে নিজের অন্তরে উচ্চতর চেতনার প্রবেশ ঘটানোর কথা বলে শাস্ত্র। আবার শ্বাস ছাড়ার সময়ে অন্তর থেকে অহংকার বের করা দেওয়া উচিত।


এই সাধনাটিতে অনেকে হমসা বলে থাকেন। সোহম শব্দের অর্থ যেমন শিবের সঙ্গে যুক্ত, তেমনই হমসা শব্দতি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তাই সোহম বা হমশা উচ্চারণ করলে ব্যক্তি শিব-শক্তির নিকটে পৌঁছতে পারবেন। নিয়মিত এই মন্ত্র জপ করলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.