৫০ বছর বয়সেও ফিট থাকতে যা মেনে চলবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স যখন ২০-এর কোঠায় থাকে তখন আমাদের খাদ্যাভ্যাস এক রকম থাকে। ৫০ বছর পেরোলে আরেক রকম হতে শুরু করে। এ সময়টায় তুলনামূলকভাবে শরীরের খেয়াল একটু বেশি পরিমাণে রাখতে হয়। না হলে শরীর সুস্থ-সবল রাখা কঠিন হয়ে যায়।


জল পানের হিসাব রাখুন। বয়স বাড়লে পিপাসার অনুভূতি কমে যায়। ফলে শরীরে জলের চাহিদা থাকলেও তা টের পাওয়া যায় না। হিসাব রাখতে নিজের ওজনের অর্ধেক পরিমাণ জল (আউন্সে) গ্রহণ করুন।


ওজন যদি ৬০ কেজি হয় তাহলে অন্তত ৩০ ফ্লুয়িড আউন্স জল গ্রহণ করা উচিত। এর মানে ৮৯০ মিলিলিটার।

তবে এর বেশি পরিমাণ জলও পান করা যায়। যদি শরীরচর্চা করেন তাহলে ব্যায়ামের সময়, এর আগে ও পরে জল পান করতে হবে।


চা ও কফিতে চিনি নয়

চিনি ও দুধ দিয়ে কফি খাওয়ার বদলে বেছে নিন ব্ল্যাক কফি। আদা চা বা গ্রিন টি খান। কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, শরীরের ওজন বাড়ার পেছনে ফ্যাটের চেয়ে সুগারের ভূমিকা বেশি। তাই চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণে সতর্ক হন।


কম পরিমাণে বারবার খান

বিপাক প্রক্রিয়া উজ্জীবিত রাখতে প্রতি তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর স্ন্যাক্স খান। বারবার কম করে খেলে মেটাবলিজম বাড়ে আর ক্ষুধা জেগে ওঠে না।


সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন

সহজে হজম হবে এমন খাবারের মধ্যে আছে ডাল, মটরশুঁটি , কাঁচকলা, মিষ্টি আলু, বীজ, শস্যদানা, ওটস ও সবজি। এ ছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খান। খাদ্যে প্রচুর আঁশ থাকলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। বদহজমের মতো সমস্যাও কমে।


খাবারের প্লেটের তিন ভাগে যা থাকবে

প্রতিবার আহারের সময় প্লেটের একাংশ কাঁচা বা রান্না করা সবজি দিয়ে ভরে ফেলুন। আরেক পাশে থাকবে প্রোটিন, যেমন—মাছ, মাংস ও ডিম। আরেক অর্ধেক পাশে থাকবে গ্রেন—লাল চাল বা লাল আটার রুটি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.