আপনার শিশু কি খুব তাড়াতাড়ি মেজাজ হারায়? সন্তানের ঘুমের দিকে নজর দিন



 ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমান ব্যস্ত সময়ে শিশুদেরও চাপ বাড়ছে। স্কুল থেকে খেলাধূলে - সবেই চাপের মধ্য থাকতে হয় শিশুদের। যা তাদের মানসিকতো বটেই শারীরিক বিকাশেও সমস্যা তৈরি করে। পাহাড় প্রমাণ এই চাপ অধিকাশং সময়ই শিশুদের বদমেজাজি করে তোলে। শিশুদের খারাপ আচরণ করতে বাধ্য করে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে একমাত্র উপায় হল প্রচুর বা পর্যাপ্ত ঘুম। আপনার সন্তানের প্রচুর ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণা তেমনই বলছে। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে শিশুদের চাপের পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।


ইউজিএ কলেজ অফ ফ্যামিলির চতুর্থ বর্ষের ডক্টরেট ছাত্র, প্রধান লেখক লিনহাও ঝাং বলেছেন কৈশরকে বিলম্বিত পুরষ্কারের পরিবর্তে অবিলম্বে পুরস্কার পাওয়ার জন্য চাপের পরিবেশ তৈরি করা হয়। তবে এমন অনেক কিশোর ও কিশোরী রয়েছে যারা চাপের পরিবেশে রয়েছে। কিন্তু তারা আবেগপ্রবণ নয়। তারপরই তিনি বলেছেন কিশোর ও শিশুদের লড়াই করার জন্য প্রচুর ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।


গবেষণায় ৯-১০ বছর বয়সী ১১ হাজারের বেশি শিশুর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শিশুদের আচরণের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই শিশুরা মেজাজ হারিয়ে ফেলছে। তাই শিশুদের লম্বা সময় ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে।


ঘুমের সমস্যা ও ঘুমের দেরি হওয়ার কারণের পাশাপাশি আবেগপ্রবণ আচরণ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে শিশুরা যদি ৯ ঘণ্টার কম ঘুমায় বা ঘুমাতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় নেয় তাহলে আবেগপ্রবণ আচরণ করে। এই আচরণগুলির মধ্যে কিছু পরিকল্পনা ছাড়াই অভিনয় করা, রোমাঞ্চ বা সংবেদন খোঁজা এবং অধ্যবসায়ের অভাব অন্তর্ভুক্ত। ঘুম এই ক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী ছিল, এবং যখন অধ্যয়নের সময় ঘুমের সমস্যাগুলি অনুপস্থিত ছিল, ভবিষ্যতে আবেগপ্রবণতাও কম পরিলক্ষিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে শিশুরা কম ঘুমালে তাড়াতাড়ি রেগে যায়।


এই গবেষণাটি লক্ষ্য-নির্দেশিত আচরণের সাথে সম্পর্কিত একটি মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কের দিকে নজর দিয়েছে।যখন এই নেটওয়ার্কটি বিশ্রাম-অবস্থার সময় অতিসক্রিয় ছিল, তখন এটি চাপপূর্ণ পরিবেশ, ঘুম এবং আবেগের মধ্যে যোগসূত্রকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই শিশুদের দিনে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রযোজন রয়েছে। তবে সেটা খেপে খেলে হলে খুব লাভ হয় না। লম্বা বা টানা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.