ব্যাকপেইন দূর করার ঘরোয়া উপায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে বেশিরভাগই চাকুরিজীবী। দিনের একটা লম্বা সময় থাকতে হয় অফিসে। ডেস্কে বসে কাজ করতে গিয়ে চেয়ার ছেড়ে খুব একটা ওঠাও হয় না। কাজের চাপে একটু হাঁটাহাঁটির অবসর মেলে না অনেকের। অনেকে আবার অলসতা করে উঠতে চান না। যাই হোক, একটানা দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে ব্যাক পেইন দেখা দেয় অনেকেরই। সেই ব্যথা কমানোর জন্য পেইন কিলার খেতে শুরু করেন অনেকে। তাতে সাময়িক মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর বদলে বেছে নিতে হবে ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-


এক্সারসাইজ করুন


ব্যাকপেইন দূর করতে চাইলে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে জিমেই যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, হাঁটার মতো এক্সারসাইজও উপকার করবে। এ ধরনের এক্সারসাইজের ফলে পিঠের মাংসপেশি ও হাড়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এমনটাই জানেয়েছে মেডিক্যাল নিউজ টুডে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমতে শুরু করে।


ওজন কমান​


ব্যাকপেইন থেকে মুক্তির আরেকটি উপায় হলো ওজন কমানো। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে ব্যাকপেইন কমবে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের বলছেন, ওজন বেশি হওয়ার ফলে অনেকে পিঠ ও কোমরে ব্যথায় ভুগে থাকেন। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। তাই সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে সঠিক উপায়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।


ঠিকভাবে বসতে হবে


অনেকেরই বসার ভঙ্গি ঠিক থাকে না। কম্পিউটারের সামনে কাজ করতে হলে আর্গোনমিক্স মেনে চলতে হবে। ঘাড় ও পিঠকে আরাম দেয় এমন চেয়ার ও টেবিল নির্বাচন করুন। বসার সময় পিঠ টানটান রেখে বসার চেষ্টা করুন। পিঠ বাঁকিয়ে, সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করার অভ্যাস বাদ দিন। কারণ বসার ভুল ভঙ্গির কারণে আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকপেইনে ভুগতে হতে পারে।


ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দিন


ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দিলে ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ঠাণ্ডা সেঁক দিলে সেই জায়গায় রক্ত চলাচল ধীর হয়। আবার গরম সেক দিলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এই বৈপরিত্যের কারণে ব্যথা কমে আসে। তাই ব্যথা দূর করার জন্য সারাদিনে অন্তত ১৫ মিনিট গরম সেঁক এবং ১৫ মিনিট ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। এতে এই ব্যথা দূর করা সহজ হবে।


স্ট্রেচিং করুন


পেশি ও হাড় নমনীয় রাখতে চাইলে নিয়মিত স্ট্রেচিং করুন। এক্ষেত্রে ফরওয়ার্ড বেন্ড, হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচিংসহ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে একাধিক এক্সারসাইজ করুন। এর ফলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। এসব মেনে চলার পরও যদি ব্যাকপেইন না কমে তাহলে সমস্যা বাড়তে না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.