শিশুর রক্ত ক্যানসারের লক্ষণ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যানসার শব্দটি শুনলেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয় মনে। কাছের কারো ক্যানসার হয়েছে শুনলেই তাকে হারানোর ভয় তাড়া করে বেড়ায় সারাক্ষণ। 


চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। শিশুদের শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। শিশুদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই লিউকেমিয়া বা রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত।


এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও প্লেটলেটগুলোর অনিয়ন্ত্রিত গঠন বিস্তার হতে থাকে। সাধারণত রক্ত ক্যানসারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি হল, অ্যাকিউট বা তীব্র এবং অন্যটি হল, ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী। জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ রক্তের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।


শিশুর নাকের সম্মুখভাগে সূক্ষ্ম রক্তনালি থেকে রক্তপাত হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি কমে যায়। কিন্তু যদি না কমে, বরং ঘন ঘন রক্তপাত হতে থাকে, তাহলে সচেতন হতে হবে।

রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত হলেই রক্ত সল্পতা শুরু হয়। রক্ত সল্পতার জন্য দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে জল জমে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

ঘন ঘন কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর হলে সতর্ক হোন। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই যে কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এক বার সংক্রমিত হলে সুস্থ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।


এই রোগ শরীরে বাসা বাধলে অস্বাভাবিকভাবে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মাড়ি থেকে রক্তপাত, কোথাও কেটে গেলে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হলে সতর্ক হতে হবে। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়। তাই রক্তপাত এক বার শুরু হলে বন্ধ হতে চায় না।

লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। লিভার ও প্লীহার আকার বেড়ে যাওয়াও রক্তের ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ।

কোনো ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন হঠাৎ অনেকটা কমে গেলেও সতর্ক হতে হবে।

হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা মানেই যে বাত হয়েছে, এমনটা ধরে নেবেন না। বিশেষ করে পাঁজরের হাড়ে যন্ত্রণা, পিঠের যন্ত্রণা কখনই উপেক্ষা করবেন না। দীর্ঘ দিন একই রকম যন্ত্রণা হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাওয়াও রক্তের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.