সাইবারবুলিং এর শিকারদের প্রভাব পড়ে খাওয়ার ওপর, রইল প্রতিরোধ করার উপায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: সাইবারবুলিং বা মোবাইল ফোনে হেনস্থা হওয়ার ঘটনা বর্তমানে একটি দারুন সমস্য । বিশেষ করে কিশোর কিশোরীদের ক্ষেত্রে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিশোর কিশোরীদের হয়রান করা হয়। মোবাইল ফোনে গুজব , হুমকি, যৌন মন্তব্য করে ফোন ব্যবহারকারীকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। যা কিশোর বা কিশোরীদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এজাতীয় সমস্যাক কারণে কিশোর কিশোরীদের খাওয়াদাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়। যা সাধারণত তাদের স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন একটি গবেষণা বলছে সাইবার বুলিং ১০-১৪ বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে।


গবেষণা বলছে সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়া বা অপরাধমূলক সাইবার বুলিং দুটি খাওয়া দাওয়ায় আনীহা তৈরি করে। যা ক্রমণে বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ অনেক সাইবার বুলিং এর শিকারই ওজন নিয়ে হয়রান নিয়ে হয়েছে। অনেক সময় অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অনেকে এবার রোগা হওয়ার জন্য খাবার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয়। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ কিশোরীর কিশোরীদের বাড়ন্ত বয়সে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।


সান ফ্রান্সিক্সোর ক্যালিফোর্নিয় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মেডিক্যাল ছাত্র ক্লো এম চেং বলেছেন সাইবার বুলিং কম আত্মসম্মান, শরীরের ইমেজ অসন্তোষ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের অস্বাস্থ্যকর প্রচেষ্টার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ঝুঁকিকে প্রভাবিত করতে পারে, যার মধ্যে খাওয়ার ব্যাধির লক্ষণ রয়েছে। তিনি এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক।


ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অব ইটিং ডিসওর্ডার এ প্রকাশিত এই গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০-১৪ বয়সী ১১ হাজার ৮৭৫ জন শিশুর ওপর একটি সমীক্ষা করেছিল। তারই ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের সাইবার বুলিং এর শিকার ও শিকারি দুই পক্ষেরই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে অধিকাংশের মধ্যেই খাওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে।


সমীক্ষায় ৯.৫ শতাংশ কিশোর কিশোরী আজীবন সাইবার বুলিংএর শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে। ১.১ শতাংশ আজীবন সাইবার বুলিংএর শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছে। চেং আরও বলেছেন বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়ের খাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখলেই চিকিৎসক বা মনরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে বাবা ও মাকে। অন্য এক চিকিৎসক বলেছেন, খাওয়ার সমস্য সর্বদা চেহারাকে প্রভাবিত করে। মনরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের সাইবার বুলিং এড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। প্রয়োজনে তাদের পাশে থেকে পুরো বিষয়টি মোকাবিলা করা। অনলাইন হয়রানির প্রতিবাদে অভিযোগ করারও প্রয়োজন রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.