১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী, বাড়িতে কী ভাবে করবেন পুজো?



 ODD বাংলা ডেস্ক: ভাদ্রপদ মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্থী তিথিতে সুখ-সমৃদ্ধির দেবতা বিঘ্নহর্তা গণেশের জন্ম হয়। তাই প্রতি বছর এই তিথিতে গণেশ উৎসব পালিত হয়। চতুর্থী তিথি থেকে শুরু করে অনন্ত চতুর্দশী পর্যন্ত দশ দিন ধরে গণেশ উৎসব পালিত হয়। বাড়িতে ও সার্বজনীন ভাবে গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। চলতি বছর কবে গণেশ চতুর্থী, বাড়িতে কী ভাবে গণেশ মূর্তি স্থাপন করবেন, সে সব জেনে নিন এখানে।


গণেশ চতুর্থীর দিনক্ষণ


                 তিথি                                                     সময়

ভাদ্র শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর ২টো ৯ মিনিটে

ভাদ্র শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি সমাপ্ত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর ৩টে ১৩ মিনিটে

কোন দিন গণেশ পুজো? উদয়া তিথি মেনে ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী পালিত হবে

গণেশ প্রতিষ্ঠার শুভক্ষণ গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠার শুভক্ষণ ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ৭ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বাড়িতে গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।


গণেশ প্রতিষ্ঠার নিয়ম

গণেশ চতুর্থীর সকালে স্নান করে স্বচ্ছ পোশাক পরে নিন।

এর পর কপালে তিলক কেটে নিন। তার পর আসন বিছিয়ে পূর্ব দিকে মুখ করে বসে যান। আসন যাতে ছেঁড়া না-হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে

কাঠের চৌকি বা গম, মুগ ও জোয়ারের ওপর লাল কাপড় বিছিয়ে গণেশ মূর্তি স্থাপন করুন।

এবার গণেশের ডান ও বাঁ দিকে ঋদ্ধি-সিদ্ধির প্রতীক হিসেবে একটি করে সুপুরি রেখে দিন।


গণেশ চতুর্থীর পুজোর নিয়ম

গণেশ চতুর্থীর সকালে বাড়ির উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে গণেশ প্রতিমা স্থাপিত করুন।

তার পর পুজোর সামগ্রী নিয়ে আসনে বসুন।

গণেশ স্থাপনার পর নবগ্রহ, ষোড়শ মাতৃকা ইত্যাদি তৈরি করুন।

চৌকীর পূর্ব দিকে ঘট রাখুন ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক প্রদীপ জ্বালান।

তার পর নিজের ওপর জল ছিটিয়ে ওম পুণ্ডরীকাক্ষায় নমঃ মন্ত্র জপ করতে করতে গণেশকে প্রণাম করুন ও তিন বার মাথা থেকে জল ছিটিয়ে তিলক লাগান।

হাতে সুগন্ধ, ফুল ও অক্ষত নিন। তার পর গণেশের ধ্যান করুন।

উপরিউক্ত মন্ত্র জপ করতে করতে গণেশের আবাহন ও আসন প্রদান করুন।

পুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওম শ্রীগণেশায় নমঃ বা ওম গং গণপতয়ে নমঃ মন্ত্র জপ করে যান।

আসন প্রদানের পর গণেশকে স্নান করান। এ ক্ষেত্রে পঞ্চামৃত স্নান করানো ভালো। সম্ভব না-হলে শুদ্ধ জল দিয়েও স্নান করাতে পারেন।

এর পর বস্ত্র, উপবীত, চন্দন, অক্ষত, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, ফল ইত্যাদি নিবেদন করুন।

শেষে গণেশের আরতি করে নিজের মনস্কামনা ব্যক্ত করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.