দুর্গাপুজোর আগে ভুঁড়ি কমানোর জন্য কিছুতেই খাওয়া কমাতে পারছেন না? মেনে চলুন এই সহজ উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে লার্জ‌ সাইজ থেকে মিডিয়াম সাইজের জামায় ফিট হওয়ার জন্য অগাস্ট মাস থেকে বেড়ে গেছে এক্সারসাইজ। প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে ক্যালোরি বার্ন করলেও খাওয়ার লোভ কমছে না কিছুতেই।  


ছুটির দিনে বাড়িতে পাত পেতে হোক, অথবা, অফিসে কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখরোচক, সারাদিনে যা খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে, তাতে ব্যাপক শারীরিক কসরতও ফ্যাট কমাতে পারছে না কিছুতেই। তাই, সবার আগে প্রয়োজন অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যেস কমানো। 


মনে রাখবেন, খাবারের পদে পঞ্চব্যঞ্জন থাকতেই পারে, কিন্তু, সবকিছু মিলিয়ে খাবারের পরিমাণ হতে হয় এক মুঠো। আপনার হাতের মুঠো সম্পূর্ণ হয়, এমন পরিমাণ খাবার খান। 


একবারে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলবেন না। মুঠো ভরা খাবার দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় বাদ দিয়ে দিয়ে খান। দিনে অন্তত ৫ থেকে ৬ বার খাবার খান এবং অল্প অল্প পরিমাণে। 


খাবার খেতে খেতে জল খেলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। এর ফলে শরীরে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। খাবার খাবার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে জল খেয়ে নিন। তারপর খাবার খাওয়ার অন্তত ৪০ মিনিট পর আবার জল পান করুন। মাঝখানে খাবার খাওয়ার সময় জল একেবারেই খাবেন না। 


মনে রাখবেন, ঘি মাখনের তুলনায় শাক সবজি শরীরের মেদ কমাতে অধিক উপকারী। এক প্লেট শাক সবজির তুলনায় কয়েক টুকরো চিজ বা মাখন থেকে একই পরিমাণ প্রোটিন পেতেই পারেন, কিন্তু, চিজ বা মাখনে তন্তু বা ফাইবার থাকে না। ফাইবার বা তন্তু শরীরে মাসল গঠন করতে এবং মেদ কম রাখতে সহায়তা করে। 


বড় থালার তুলনায় সবসময় ছোট প্লেটে খাবার নিন। ছোট প্লেট ভর্তি থাকলে এক প্লেট ভরা খাবার খাচ্ছেন বলে মনে হবে। বড় প্লেটে একই পরিমাণ খাবার নিলে আপনার মস্তিষ্ক এটাই বোঝাতে সহায়তা করবে যে, অপনার প্লেটে খাবার কম রয়েছে। তুলনায়, ছোট প্লেটের খাবার সঠিক পরিমাণে রয়েছে বলে মনে হবে। 


অল্প খাবারকে অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে খান। এর দ্বারা দুটো উপকার হয়:

১) ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেলে খাবার অতি সহজেই হজম হয়। ফলে শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা কম হয়।

২) খাবার অনেকক্ষণ ধরে খেতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে সংকেত পাঠায় যে, আমাদের পেট এবার ভর্তি হয়ে গেছে, এর ফলে, খাবার খাওয়ার পরিমাণ কম হয়ে যায়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.