গোপনে অনলাইনে যেসব জিনিস সার্চ করে নারীরা
ODD বাংলা ডেস্ক: নারীরা গোপনে গুগলে যে ১০টি জিনিস সবচেয়ে বেশি সার্চ করেন তা জানলে ভাবনায় পড়ে যেতে পারেন যে কেউ। তাহলে জেনে নিন সেই বিষয়বস্তুগুলো কী!
বলিরেখামুক্ত ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে : ৩০ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। আপনি যদি বলিরেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন। এরপর তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে ভুল করবেন। বলিরেখার প্রথম লক্ষণ হলো কপালে ভাজপড়া। ওয়েবে ত্বকের বলিরেখা দূর করার নানা উপয়া আছে। সেগুলো জেনে ত্বকের যত্ন নিন।
স্মোকি আই মেকআপ করা সম্ভব কীভাবে : স্মোকি আই মেকআপ করার পদ্ধতি বিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সংখ্যক লেখা রয়েছে। যে কোনো একটি পদ্ধতি বাছাই করে সে মতো কাজ করুন। তবে কখনোই দুটো পদ্ধতি সমন্বয় করতে যাবেন না তাহলে কিন্তু বিপদ আছে। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করব কীভাবে : শসা ও আলুর ফালি এবং আইস বা ঘুমের রুটিন বদলে আপনি আইব্যাগ বা চোখের ফোলাভাব থেকে মুক্ত হতে পারেন। তবে কর্কশ কিছু ব্যবহার করবেন না।
চুলে কয়দিন পরপর শ্যাম্পু করবো : শ্যাম্পু তখনই করা উচিত যখন চুল ও মাথার ত্বকে ময়লা জমে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্যাম্পু করালে চুল ভালো থাকে। আর চুলের যত্নে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি তেল, কন্ডিশানার, ভলুমাইজার এবং অন্যান্য জিনিসও ব্যবহার করতে হবে।
দেহের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণে নিরাপদ উপায় কোনটি : দেহের লোম অপসারণের আছে একাধিক উপায়। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ধরন এবং লোম গজানোর তীব্রতার ওপর। চোখের ভ্রুর জন্য থ্রেডিং এবং টোয়েকিং ভালো কাজ করে। হাত বা পায়ের জন্য ওয়াক্সিং সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।
ট্যাটু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর : সবার জন্য যে ট্যাটু ক্ষতিকর এমন নয়। তবে যারা স্থায়ী ট্যাটু এঁকেছেন তাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ফলে তাদের ত্বকের সমস্যা বেড়েছে।
চুল কীভাবে দ্রুত গজানো যায় : চুল দ্রুত গজাতে চাইলে চুলকে ভালো যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে। আর চুল দ্রুত গজানোর কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় আপনাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
ফর্সা ত্বক পাব কীভাবে : নারীরা প্রায়ই ত্বক ফর্সা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কসমেটিকস কেনেন। যেমন, পাউডার, ফাউন্ডেশন এবং আরো নানা ধরনের প্রসাধনী কেনেন। কিন্তু ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই মূল চাবিকাঠি। এজন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে, ফল ও জুস খেতে হবে।
ত্বকের ধরন নির্ণয় করব কীভাবে : সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো একটি মেডিকেল স্কিন টেস্ট করানো। ঘরে বসেও প্রাথমিক পদ্ধতিতে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করেও স্কিন টেস্ট করানো যায়। ব্লটিং পেপারটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দিন। এরপর তা তুলে আলোতে দেখুন। এতে যদি প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন হলো তৈলাক্ত। আর যদি কম তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক।
স্কিন টেস্টের সর্বশেষ ঘরোয়া পদ্ধতিটি হলো মুখ পরিষ্কার করে একঘন্টা পর তা পর্যবেক্ষণ করুন। একঘন্টাও পরও যদি আপনার মুখে তেল এবং মেদ থেকে ক্ষরিত রস থাকে তাহলে আপনার ত্বক হলো তৈলাক্ত ত্বক। কিন্তু যদি কোনো পরিবর্তন না দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক। আর আপনার নাক এবং কপাল যদি কিছুটা চকচকে হয়ে ওঠে তাহলে আপনার ত্বক স্বাভাবিক ধরনের।
Post a Comment