কৌশিকী অমাবস্যায় কী কী করবেন, আর কোনটাই বা করা অনুচিত, জেনে নিন

ODD বাংলা ডেস্ক: আজ কৌশিকী অমাবস্যা। ভাদ্রের শেষে এই অমাবস্যা ঘিরে বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের মত প্রচলিত থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে,কথিত রয়েছে এই সময় বিভিন্ন ধরনের তন্ত্র সাধনা সম্পন্ন হয়। এই তন্ত্র সাধনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু পৌরাণিক কাহিনি উঠে আসে তারাপীঠের বুক থেকে। শোনা যায়, কৌশিকী রূপে মা তারা এই দিনের বিশেষ সন্ধিক্ষণে শুম্ভ নিশুম্ভ নামক অসুরকে দমন করেন। সেই নাম থেকেই এই দিনের তিথি কৌশিকী অমাবস্যা নামে খ্যাত।

কৌশিকী অমাবস্যার রাতে কী করবেন? 
  • কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ভুলেও বাড়ির থেকে রাতের অন্ধকারে অনেকটা দূরের কোনও স্থানে একা যাওয়া ঠিক নয়, বলে জানাচ্ছেন বহু শাস্ত্রবিদ। কোনও কারণে , হুঠ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে সেই দিন কোথাও যাওয়ার আগে সচেতনতা অবলম্বন করার বার্তা দিচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। শাস্ত্র মতে বলা হয়, এই দিনে বহু নেগেটিভ এনার্জি তৈরি হয় অনেক সময় তন্ত্রসাধনার ফলে। যার প্রভাব পড়তে পারে।
  • বাইরে বের হওয়ার আগে রাখুন তুলসী পাতা যদি বাড়ির বাইরে বের হতে হয়, তাহলে সঙ্গে রাখুন তুলসীপাতা। কোনও কাজে সেই দিন বের হলে সঙ্গে তুলসী পাতা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। তবে শাস্ত্র মতে বলা হয়, তুলসীপাতা অমাবস্যার দিন তুলতে নেই। ফলে এই পাতা আগের থেকেই তুলে নিয়ে করতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের এদিন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়। ফলে তাতে নেগেটিভ এনার্জিকে সরিয়ে শুভ শক্তিকে আপন করা যায়।
  • বলা হয়, কৌশিকী অমাবস্যার রাতে, মা তারার পায়ে লাল রক্ত জবা ও সিঁদুর অর্পণ করা হয়। এই কাজ অমাবস্যার দিন করলে তার সুপ্রভাব পড়বে জীবনে। বলা হচ্ছে অমাবস্যার রাতে যদি সদর দরজার কাছে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়, তাহলে তার সুপ্রভাব পড়বে।
তবে কৌশিকী অমাবস্যায় ভুলেও আমিষ ভোজন করতে বারণ করা হয়। শাস্ত্র মতে বলা হয়, সেই দিনে আমিষ ভোজন করলে শরীরে নেগেটিভ এনার্জি বাড়তে থাকে। আর তার ফলে এদিন কোনও ধরনের কুপ্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই শাস্ত্র মতে এই দিন নিরামিষ ভোজন করার কথা বলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.