মন্দ ভাবনা দূরে রাখুন
ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, হতাশা সবার জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যান্ত্রিক জীবন বলুন আর যাই বলুন, মন্দ ভাবনা থেকে দূরে থাকার উপায় নেই। কিন্তু সেটি আপনার জীবনকে ক্ষুদ্র গণ্ডিতে আটকে রাখার কারণে।
তার মতে, 'মন্দ ভাবনা বা নেতিবাচক ভাবনা তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রে অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর সমস্যাগুলো ক্ষুদ্র। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কদিন আগে স্বনামধন্য একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া হয়। প্রেমিক তাকে ছেড়ে যাবে এই ক্ষুদ্র ভাবনা থেকেই সে আত্মহত্যা করবে এমন একটি কথা বলে ছেলেটিকে। সে চেষ্টাও করে। আসলে মেয়েটি মরতে চায়নি। শুধু ভয় দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু হাত কাটার ফলে রক্তপাত ভয়াবহ আকার ধারণ করে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে পথেই মেয়েটি মারা যায়। নেতিবাচক ভাবনা যেমন ক্ষুদ্র তেমনি এর ফলে তাৎক্ষণিক নেওয়া অনেক সিদ্ধান্তও ক্ষুদ্র। তবে পরিণতি যে ভয়াবহ হতে পারে তা এই ঘটনাই বলে দেয়।'
অবশ্য তিনি এই নেতিবাচক ভাবনা থেকে দূরে থাকার কিছু উপদেশও দিয়েছেন। সেগুলো ধাপে ধাপে দেখা যাক:
নিজের জার্নাল রাখুন
যখনই মাথায় কোনো বাজে ভাবনা আসবে কাগজ কলম নিয়ে লিখতে বসুন। আজকাল মোবাইলেই অনেক জার্নাল অ্যাপ পাওয়া যায়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন। এমনটি না করাই ভালো। নিজের জার্নালে লিখে একটি মতামত দিলে দেখবেন আপনার ভালো লাগছে।
উচ্চাভিলাষী হতাশা নয়
জীবন একঘেয়ে। সমাজে বাস করলে আমাদের একঘেয়ে নিয়মেই বাঁচতে হয়। আর এই একঘেয়েমিতে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা দিয়ে বৈচিত্র্য আনুন। কৃতজ্ঞ থাকুন এই মূহুর্তের প্রতি।
মজার ছলে শেখা
মস্তিষ্ককে সচল রাখুন। চিন্তা করার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে হতাশা জেঁকে বসে। আর মজার ছলে বই পড়া, নতুন কাজ শেখা, কোনো শখ গড়ে তোলা গেলে অন্তত হতাশা আসবে না।
সৃজনশীলতায় মুক্তি
আপনি কবি, সাহিত্যিক হবেন এজন্য শিল্প বা সৃজনশীলতায় জড়াবেন বিষয়টি এমন নয়। নোটপ্যাডে লিখুন, বা কোনো বিষয় নিয়ে কাজ করুন। সৃজনে সুন্দর মানসিক আনন্দ দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছেন আপনি। কিন্তু আপনি করছেন শুধু স্ক্রলিং কিংবা মেসেজিং। আপনার মস্তিষ্ক সক্রিয় নয়। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন এবং অন্য কাজে মনোযোগ দিন। ঘুম ও খাদ্যাভ্যাস ঠিক করুন।
Post a Comment