হাতে শনি রেখা থাকলে জীবন কাটে রাজার মতো, পৃথিবীর সব সুখ মেলে এদের



 ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষশাস্ত্রের বিভিন্ন শাখার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল হস্তরেখা। হাতের রেখা বিচার করে আমাদের ভাগ্য গণনা করা যেতে পারে। আমাদের জন্মছকের মতো হস্তরেখা শাস্ত্রেও শনির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাতের পাতায় শনি রেখা ও শনি পর্বত জাতকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। শনি রেখা যদি হাতে শক্তিশালী হয়, তাহলে জাতক অত্যন্ত সুখী ও সফল জীবন যাপন করেন। এমন ব্যক্তি সমাজে উচ্চ স্থান পান, মান সম্মান, প্রতিপত্তি লাভ করেন এবং আর্থিক ভাবেও সুখ ও স্বাচ্ছন্দ লাভ করেন সেই ব্যক্তি।


হাতে শনি রেখার অবস্থান


হাতের মণিবন্ধ রেখা থেকে শুরু করে হাতের পাতার মাঝামাঝি শনি পর্বত পর্যন্ত যায় যে রেখা, তাই হল শনি রেখা। আমাদের হাতের মধ্যমার নীচে থাকে শনি পর্বত। শনি রেখা যত গভীর, পরিস্কার ও গোটা থাকবে, ততই তা জাতকের উপর শুভ প্রভাব বিস্তার করে। শনি রেখাকে ভাগ্য রেখাও বলা হয়ে থাকে কারণ শনি রেখা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তবে কারোর কারোর হাতে শনি রেখা মোটে থাকেই না। সেক্ষেত্রে অন্য সব রেখা ও পর্বত অনুসারে সেই ব্যক্তির ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।


শনি রেখার শুভ প্রভাব


হাতের শনি রেখা যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি সুখী, সম্মানিত ও বিলাসপূর্ণ জীবন যাপন করেন। এমন ব্যক্তি নিজের কেরিয়ারের শীর্ষ স্থান অধিকার করেন।


শনি রেখা যদি কবজির উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে শনি পর্বত পর্যন্ত যায়, তাহলে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যবান। এরা অল্প বয়সেই প্রচুর ধন লাভ করে থাকেন। নিজেদের কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে জীবনে বিশেষ স্থান অর্জন করেন এরা। এরা নিজেদের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করেন।


জীবন রেখে থেকে বেরিয়ে কোনও রেখা যদি শনি পর্বত পর্যন্ত যায়, তাহলেও সেই ব্যক্তি খুবই ভাগ্যবান। এরা যে কাজে হাত দেন, তাতেই সাফল্য লাভ করেন।


যদি হাতে বৃহস্পতির পর্বত থেকে বেরিয়ে কোনও রেখা শনির পর্বত পর্যন্ত যায়, তাহলে সেই ব্যক্তিরা সব সময় সৌভাগ্যের সহায়তা পান। এই রেখা যদি পরিষ্কার, গভীর ও কোনও কাটাকুটি ছাড়াই থাকে, তাহলে জাতক জীবনে প্রচুর টাকা রোজগার করেন। এরা বিলাসপূর্ণ জীবন কাটাতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.