ভিনগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা নিশ্চিত করল বিজ্ঞানীরা

ODD বাংলা ডেস্ক: পৃথিবী থেকে বহু কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রহে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা প্রাণ থাকার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ কে২-১৮বি নামের গ্রহে ডাইমিথাইল সালফাইড (ডিএমএস) অণুর অস্তিত্ব শনাক্ত করে থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। অন্তত পৃথিবীর ক্ষেত্রে এই অণুটি কোনো প্রাণিদেহ থেকেই উৎপাদিত হয়ে থাকে।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন যে গ্রহটিতে ডাইমিথাইল সালফাইড অণুর উপস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা পাকাপোক্তভাবে নিশ্চিত নন।

সংশ্লিষ্ট গবেষকরা গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। এ দুটি গ্যাসের উপস্থিতি গ্রহটিতে সমুদ্র থাকার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কে২-১৮বি গ্রহ পৃথিবী থেকে ১২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল গতিতে এক বছরে আলো যত দূর যায় তা-ই এক আলোকবর্ষ দূরত্ব।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান নিকু মধুসুদন বলেন, পৃথিবীতে ডাইমিথাইল সালফাইড অণুটি শুধু কোনো প্রাণ থেকেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। এর বেশির ভাগ সামুদ্রিক পরিবেশের ফাইটোপ্লাংকটন থেকে বায়ুমণ্ডলে নিঃসৃত হয়ে থাকে। তবে ডাইমিথাইল সালফাইডের শনাক্তকরণকে প্রাথমিক হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটির উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত হতে আরো তথ্য প্রয়োজন। এক বছরের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে—এমন গ্রহে এই প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ডাইমিথাইল সালফাইডের সম্ভাব্য উপস্থিতি খুঁজে পেলেন।

২০২০ সালে আমাদের সৌরজগতেই অবস্থিত শুক্র গ্রহের মেঘে ফসফাইন নামক অণু শনাক্ত করার কথা বলা হয়েছিল। ওই অণুটিও কেবল জীবিত কোনো প্রাণী থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু বছরখানেক পরই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। লন্ডনের রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উপপরিচালক রবার্ট ম্যাসি বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে সেই গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে পৌঁছে এই মহাবিশ্বে আমরা একা কি না সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হব। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.