38 বছর পেরলেও বিয়ে করছে না ছেলে! সন্দেহের বশে মা যা করলেন...জানলে অবাক হবেন আপনিও
ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশের কোঠা পেরলেই বাড়িতে থেকে আসে বিয়ের চাপ। পাত্র কিংবা পাত্রীর নিজের চেয়েও পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী সকলের মধ্যে যেন বিয়ের তাড়া বেশি দেখা যায়! এমনিতেও আজকাল বেশিরভাগ মানুষ পড়াশোনা, কেরিয়ার গুছিয়েই বিয়ের পিড়িতে বসতে চান। তাছাড়া বিয়ে হল বর কিংবা কনের একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে কেউ বিয়ে না করারও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। এদিকে বয়স পেরিয়ে গেলেও ছেলে-মেয়ের বিয়ের হুঁশ নেই, ঘরে-ঘরেই বাবা-মায়ের এই চিন্তার গল্প শোনা যায়। আপনারও কী অবিবাহিত হওয়ার জন্য এই অভিজ্ঞতা রয়েছে? তাহলে জেনে রাখবেন শুধু ভারতেই নয়, চিনের অভিভাবকেরা সন্তানের বিয়ে নিয়ে একইভাবে চিন্তা করেন। আর সেই দুশ্চিন্তা থেকেই এক অদ্ভূত কাণ্ড করে বসলেন এক মা।
চিনের ওয়াং নামে এক ব্যক্তির বয়স পেরিয়েছে 38 বছর। কিন্ত বিয়ের ইচ্ছে তো দূর, তাঁর কোনও প্রেমিকাও নেই! আর এতেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর মা। ছেলের কোনও গোপন সমস্যা রয়েছে কিনা সেই চিন্তায় জেরবার হন তিনি। এমনকী দুশ্চিন্তায় থাকতে না পেরে ছেলেকে নিয়ে হাজির হন সাইকিয়াট্রিস্টের দোরগোড়াতেও।
ছেলের জন্য সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলেও ওয়াং-এর সমস্যা নেই বলেই জানান ডাক্তার। বরং তিনিই নিজের মধ্যে 'ছেলেকে বিয়ে করতে বাধ্য করার' মানসিক রোগ তৈরি করেছেন। তাই ডাক্তারের পরামর্শ, ছেলের নয়, বরং মায়ের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
বেইজিং-এ দশ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেন ওয়াং। আগে তিনি অভিনেতা হিসাবে কাজ করলেও এখন তিনি একজন টেনিস প্রশিক্ষক। তবে বিয়ে যে তিনি কোনও দিনই করবেন না এমনটা মনে করেন না ওয়াং। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "আমি শুধু খুব ব্যস্ত এবং সঠিক মানুষ পাইনি। আমি বিয়ে করছি না বলে আমার মা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। তাই আমার খারাপ লাগে।"
নিজের শহরে ওয়াং 'সুপার ওল্ড সিঙ্গল ম্যান' হিসেবে পরিচিত। মাকে সন্তুষ্ট করার জন্যেই প্রতি বছর লুনার নববর্ষের সময় তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। এমনকী ছেলের 38 বছরেও বিয়ে না হওয়ায় রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ওয়াং-এর মা।
চিনের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ওয়াং-এর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। আর সেই পোস্ট নিয়ে অভিভাবকেরা বিয়ের জন্য কীভাবে চিন্তিত থাকেন তা নিয়ে চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কও হয়। যেখানে এক নেটিজেন লিখেছেন, "আমরা বিয়ে না করলে সমাজ কেন অপরাধীর মতো আচরণ করছে?"
Post a Comment