ক্যান্সার-পরবর্তী প্রয়োজন নিয়মিত ফলোআপ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যান্সার থেকে সেরে উঠলেও চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। চিকিৎসা-পরবর্তী দিনগুলোতে সতর্ক হয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাঁরা ক্যান্সার সারভাইভার তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ দরকার হতে পারে। এতে দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে ফিরে আসার আশঙ্কা কমে।


যাঁদের কোনো একটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে এবং যাঁরা ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁরা সকলেই ক্যান্সার সারভাইভার। ক্যান্সার অনেক দিন ধরে চলার পর একসময় তা শেষ হয়। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বহুদিন পর্যন্ত থাকে।

কেন জরুরি ফলোআপ?


ক্যান্সার চিকিৎসার পরও এর লক্ষণগুলো ফিরে আসছে কি না তা দেখবেন চিকিৎসক।


চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করবেন। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও রোগীরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমস্যায় ভোগেন। এগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলা হয়। ফলোআপের অংশ হিসেবে কিছু শারীরিক পরীক্ষা বা রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে।

ক্যান্সার সারভাইভারের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন তিনি। নির্দিষ্ট কিছু টেস্ট করতে দেবেন।

শিশু বা তরুণ ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ফলোআপ বেশি দরকার হয়। ক্যান্সার সেরে যাওয়ার পর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পেটের সমস্যা, বদ হজম, মাথা ধরা।


এর সঙ্গে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। লেখাপড়া, বাইরে সময় কাটানো, শরীরচর্চা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে এই সংকট কাটানো যেতে পারে। এর পাশাপাশি আনন্দে সময় কাটানোর জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখা জরুরি। দুশ্চিন্তাও কমাতে হবে।

অন্যান্য রোগ সম্পর্কেও সতর্ক হতে হবে


অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেহের ওজন, হার্টের সমস্যা, হাড়ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, আর ডায়াবেটিস থাকলে সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে।


জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন দরকার


খাবারে কী কী থাকবে তা জেনে নিতে হবে রেজিস্টারড ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে। যথেষ্ট জল পান করতে হবে। শরীরকে ডিহাইড্রেটেড রাখা যাবে না। বাদ দিতে হবে কোমল পানীয়। রোদে বের হওয়ার আগে ত্বকে লাগাতে হবে সানস্ক্রিন, সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।


যা মেনে চলবেন


প্রথমবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সময় শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দিয়েছিল সেগুলো চিনে রাখতে হবে। যেকোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.