কিশোর বয়সী সন্তানের সাথে অভিভাবকের বন্ধুত্ব

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সন্তান যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় তখন মা-বাবা সব সময় সন্তানের সাথে থাকেন। তবে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে প্রবেশ করলেই মা-বাবার চিন্তা বেড়ে যায়। কারণ পরিবার ছেড়ে সন্তানকে তখন দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাই সন্তান কোন পরিবেশে মিশছে, তার বন্ধুরা কেমন, আদতেও সে বন্ধু বানাতে পারছে কি না, এসব নিয়ে মা-বাবা চিন্তিত থাকেন।


চলুন জেনে নিই এ সময় মা-বাবার কী করা উচিত।


ভয় না পাওয়া

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া প্রায় সব শিক্ষার্থীই লাজুক ও ভীত থাকে। তাই তারা নতুন বন্ধু তৈরি করতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিত তাদের সঠিক বন্ধু নির্বাচনে সাহায্য করা।


মাধ্যমিক বিদ্যালয় শুরু করা শিক্ষার্থীদের মনে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সবাই একই নৌকায় আছে। অর্থাৎ এখানে সবাই সমান। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবেন। কিভাবে নিজে সবার সাথে মানিয়ে নেবে তা বোঝাবেন।

খোলা মনের হওয়া

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিনগুলো আরো বেশি আনন্দময় ও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে স্পোর্টস ক্লাব, নাট্যদল, বার্ষিক অনুষ্ঠান, বনভোজন ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। এই কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ করলে নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরির সুযোগ তৈরি হয়। তাই আপনার সন্তানকে এই কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণে সুযোগ দিন। পাশাপাশি পাঠ্যক্রমের বাইরে কাজকর্ম, যেমন স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্পগুলোতে কাজ ও সমর্থন করতে উৎসাহিত করুন।


খারাপ সঙ্গ থেকে বিরত থাকা

বন্ধু জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।


তাই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।’ অর্থাৎ একটি খারাপ বন্ধু অন্যকেও খারাপ বানাতে পারে। তাই আপনার সন্তানকে ভালো ও খারাপ বন্ধু সম্পর্কে সচেতন করুন। আপনার সন্তানকে জানাতে হবে কিভাবে একটি খারাপ বন্ধু তাদের ক্ষতি করতে পারে। একটি খারাপ বন্ধুত্ব থেকে বের হওয়ার কৌশল তাদের শেখাতে হবে।

কথোপকথন

একটি শিশুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তার বন্ধুত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শিশু আলাদা এবং তারা তাদের নিজস্ব গতিতে চলে। তাই প্রথম কয়েক সপ্তাহে কেউ যদি বন্ধুত্ব তৈরি করতে না পারে তো এমনটা মনে করার কারণ নেই যে সে ভবিষ্যতেও বন্ধু বানাতে পারবে না। তাই চাপ না দিয়ে তাদের সাথে কথা বলুন। তাদের কথা শুনুন এবং আবেগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন।


সাহায্য চাওয়া

একটি শিশুর চারপাশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে সে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন মন করলেই তার বাবা-মা, শ্রেণিশিক্ষক ও গৃহশিক্ষকের কাছে সাহায্য চাইতে পারে। শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.