মশার হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে রাখুন এইসব গাছগুলি
আপনি জানলে অবাক হবেন কিছু গাছ আছে যেগুলো পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়। তবে এসব গাছ মশার যম। যেমন- তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদা গাছ ইত্যাদি। এসব গাছে কীট প্রতিরোধক কিছু যৌগ থাকে। সাইপারমেথ্রিন ও ম্যালাথিয়ন মশার ডিম, লাভা ও মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করতে কাজ করে।
চলুন তবে জেনে নিই মশা দূরে রাখতে কোন কোন গাছ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে-
গাঁদা
গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় অ্যান্টিসেপ্টিক থাকে। এ কারণে গাঁদা গাছ থেকে মশা দূরে থাকে। এছাড়া গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেয়াও সহজ, প্রয়োজনীয় জল ও আলো পেলেই এই গাছ জন্মায়। গাঁদা ফুলের গন্ধ মানুষের পছন্দ হলেও মশা একদম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে আপনার ঘর থেকেও মশা দূরে থাকবে।
তুলসী
আদিকাল থেকেই তুলসী গাছ ঘরের আঙিনায় লাগানোর রীতি প্রচলিত আছে। তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণ আছে। এ গাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া তুলসীর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূরে রাখে।
পুদিনা
পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তাই পুদিনা গাছকে মশার প্রাকৃতিক কীটনাশক বলা হয়।
ল্যাভেন্ডার
ল্যাভেন্ডার গাছের আশেপাশে কোনো পোকামাকড় আসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় একধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা।
সাইট্রোনেলা
সাইট্রোনেলা গাছ থেকে একধরণের সুগন্ধি বেরোয় যা মশা একদম সহ্য করতে পারে না। আর এই গন্ধ পেলেই মশা ধারে কাছেও ভিড়ে না। ৬-৭টি সাইট্রোনেলা গাছ ১ একর জায়গাকে মশামুক্ত রাখতে পারে।
রোজমারি
রোজমেরির ঘ্রাণে মশারা টিকে থাকতে পারে না।
লেমন গ্রাস
‘ঘাস খাও’- কথাটা ব্যঙ্গাত্মক অর্থে বুদ্ধিহীনতার উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার হলেও লেমনগ্রাস বা থাই পাতা খাওয়া কিন্তু মোটেই বোকার পরিচয় নয়। থাই সুপ তৈরিতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। তাই লেমনগ্রাস আমাদের কাছে থাই পাতা নামে পরিচিত। এর সুগন্ধ মনকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। আর লেমন গ্রাসের গন্ধ মশাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে।
Post a Comment