ভালো ঘুমের জন্য শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা কত থাকা উচিত? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রাতে হোক বা দিনের বেলা, ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যাঁদের একটু বেশি বয়স, তাঁদের ভালো ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এর আগে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল, ভালো ঘুমের জন্য শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা উচিত। তবে এখন গবেষকরা বলছেন, ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা থাকা ভালো। ঘরের তাপমাত্রা এরকম থাকলে ভালো ঘুম হয়। এখন শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও অনেক বাড়িতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে। ফলে ঘরের তাপমাত্রা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


সব বয়সের মানুষেরই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ঘুম জরুরি। ভালো ঘুম না হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঘুম বেশি প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হজমের সমস্যা হয়, সারাদিন ক্লান্ত লাগে, মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, কোনও কাজ করারই ইচ্ছা হয় না। টানা ঘুমের সমস্যা হলে কঠিন রোগও হতে পারে। সেই কারণেই শোওয়ার ঘরে ভালো ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ থাকা জরুরি। ঘরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকলে যেমন ভালো ঘুম হয় না, তেমনই ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকলেও ঘুমের সমস্যা হয়। ঘরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেলেই ভালো ঘুমের সম্ভাবনা ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমে যায়।


হিব্রু সিনিয়র লাইফ অ্যান্ড হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের অন্তর্গত হিন্দা অ্যান্ড আর্থার মার্কাস ইনস্টিটিউট ফর এজিং রিসার্চের প্রধান গবেষক আমির বানিয়াসাদি বলেছেন, গবেষণার ভিত্তিতে সামগ্রিকভাবে ঘুমের উপযুক্ত তাপমাত্রার কথা বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিবিশেষে তাপমাত্রা আলাদা হতেই পারে। যে কোনও ব্যক্তি নিজের মতো করে উপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থা করতেই পারেন। আমিরের বক্তব্য, ‘এই গবেষণার ফলে বয়স্ক ব্যক্তিদের ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশের কথা বলা হয়েছে। ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই ভালো ঘুম হয়। বিশেষ করে নিজের মতো করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত চাহিদা ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। যে তাপমাত্রা উপযুক্ত মনে হয়, প্রত্যেকের সেই তাপমাত্রাই রাখা উচিত। না হলে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.