'পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে অফিসে আলোচনা করবেন না', কোম্পানির HR-এর সতর্কবার্তা পেয়ে তাজ্জব কর্মী
ODD বাংলা ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদলেছে মানুষের চিন্তাভাবনা। অনেক ক্ষেত্রেই ভেঙেছে পিরিয়ড 'ট্যাবু'। তবুও যতই খোলামেলা কথা হোক না কেন, আজও অনেকেরই পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে বেশ একটা ঢাক গুড়গুড় ব্যাপার আছেই। শিক্ষিত সমাজের যেন এখনও ঋতুস্রাব নিয়ে বেশি আলোচনা পছন্দ নয়। অন্তত এমনটাই অভিজ্ঞতা হয়েছে এক মহিলার। যাঁকে পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে কথা না বলার জন্য় সতর্ক করা হয় অফিসের তরফে। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সেই মহিলা কর্মী।
আজকাল তথাকথিত ট্যাবু ভাঙার জন্য় পিরিয়ডের বিষয়ে কথা বলতে ব্যাপকভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়। এমনকী কার্যকরীভাবে পিরিয়ড নিয়ে খোলামেলা আলাচনার উদ্যোগ নিয়েছে কিছু কোম্পানি। বন্দোবস্ত করা হয়েছে পিরিয়ডের জন্য ছুটিও। কিন্তু পরিস্থিতি যে সর্বোতভাবে বদলায়নি সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। এক কোম্পানির কর্মীকে পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে কথা না বলার জন্য সতর্ক করেন এইচআর। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন সেই মহিলা কর্মী।
নেটদুনিয়ায় মহিলা জানিয়েছেন,'আমি অফিসে পিরিয়ড নিয়ে আলোচনা করার জন্য় মৌখিক সতর্কতা পাই।'এইচআর নিজেও একজন মহিলা। তাই তাঁর কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়ে বেশ হতবাক হয়েছেন কর্মী। এইচআরের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে তিনি পিরিয়ডের কথা আলোচনা করে অন্যদের অস্বস্তিতে ফেলেছেন। এপ্রসঙ্গে ওই কর্মীর বক্তব্য, 'আমি নিজে প্রসঙ্গ তুলেনি, আমার এক সমকর্মী আমাকে বলছিল যে তাঁর পিরিয়ড ক্র্যাম্প হয়েছে। আমি তাঁকে বলি যে আমারও রয়েছে। ব্যাস, এতটুকুই।'
গতবছর অফিসের লিঙ্গ বৈষম্যের উপরে ভাষণ দিয়েছিলেন ওই একই মহিলা এইচআর। কর্মী জানিয়েছেন যে তাঁর উপদেশ ছিল, 'সকালে রেডি হতে কম সময় নিন যাতে ছেলেরা আপনাকে গুরুত্ব দেয়।' গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। এসেছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া। একইসঙ্গে কর্মীর সঙ্গে এইচআরের এমন আচরণ দেখেও থ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, 'সমাজ কবে বদলাবে?'আবার কারোর মতে, 'আজও পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু! এইচআর মহিলা হয়েও যদিও এমন ব্যবহার করেন তাহলে অফিস তথা সমাজের পরিস্থিতি কোনও দিন পরিবর্তন হবে কি!'
Post a Comment