২১ সেপ্টেম্বর অ্যালজাইমার্স ডে, এই রোগটি সম্পর্কে এইসব তথ্যগুলি অবশ্যই জেনে রাখুন

ODD বাংলা ডেস্ক: অ্যালজাইমার্স এক ধরনের ডিমেনশিয়া। আর দিন দিন এই রোগ গোটা বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। তাই যাতে সাধারণ মানুষ এই রোগটা নিয়ে সচেতন হয়, সতর্ক হয় তার জন্যই ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় অ্যালজাইমার্স ডে।

এটি একটি নিউরোডিজেনেরেটিভ রোগ যা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং পরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ৬০-৭০ শতাংশ কেসেই এটা ডিমেনশিয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অ্যালজাইমার্স শব্দটি শুনলে যেটা আমাদের মনে পড়ে যে কথা ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা, ইত্যাদি।

চলুন দেখে নেওয়া যায় এই দিনটির ইতিহাস?

১৯০১ সালে প্রথমবার একজন জার্মান মনোবিদ অ্যালয়েজ অ্যালজাইমার এই রোগটিকে চিহ্নিত করেন, তখন থেকেই এই রোগটিকে অ্যালজাইমার্স রোগ নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই রোগটি তিনি একজন ৫৫ বছর বয়সী মহিলার মধ্যে চিহ্নিত করেছিলেন। এবং ১৯০৬ সাল পর্যন্ত অ্যালজাইমার তাঁর চিকিৎসা করেন এবং পর্যবেক্ষণও করেন গভীর ভাবে। তারপর সেই মহিলার মৃত্যুর পর তিনি এই রোগ সম্পর্কে প্রকাশ্যে বিস্তারিত জানান। এরপরের পাঁচ বছর একই ধরনের বহু কেস আসতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আর তখন থেকেই তখন এই রোগটিকে অ্যালজাইমার্স বলে অভিহিত করা শুরু করে।

বিংশ শতাব্দীতে ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যেই এই রোগ হতে দেখা যায় সব থেকে বেশি। আর রোগ থেকেই ডিমেনশিয়া হতে থাকে। ১৯৮৪ সাল থেকে অ্যালজাইমার্স ডিজিজ ইন্টারন্যাশনাল এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসা করাতে সাহায্য করতে থাকে এবং একই সঙ্গে সচেতনতাও ছড়াতে থাকে। ১৯৯৪ সালে এই সংস্থাই ২১ সেপ্টেম্বরকে বেছে নেয় বিশ্ব অ্যালজাইমার্স দিবস হিসেবে, যেদিন এই রোগের গুরুত্ব, ভয়াবহতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করা হবে। ২১ তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ ১৯৯৪ সালে এই সংগঠনের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছিল ওই দিনই তাই।

কেন এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ?

বিশ্ব অ্যালজাইমার রিপোর্ট ২০০৯ সালের অ্যালজাইমার্স দিবসের দিন প্রকাশ্যে আনা হয় যাতে সেটার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা যায়। এর পর থেকে প্রতি বছরই এই দিন রিপোর্টটি প্রকাশ করা হতে থাকে যে রোগটি কোন ভয়াবহ হারে প্রতি বছর বাড়ছে, বর্তমান ছবি কী সেটা তুলে ধরার জন্য।

এই রোগের তিনটি ধাপ হয়, প্রাথমিক ধাপে রোগ ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা হলে দ্রুত সেরে ওঠা যায়। কিন্তু শেষ ধাপে যখন ধরা পড়ে এই রোগটি তখন আর কিছুই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এই রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে সব জিনিস ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা। পরে সেটা বাড়তে বাড়তে কথা বুঝতে না পারা, ভাষা চিনতে বা বলতে না পারা, মুড সুইং, হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

২০২৩ সালে অ্যালজাইমার্স দিবসের থিম হল  "Never too early, never too late."

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.