শোভনের কাছে আসার আগে প্রাক্তনকে 'কবজ-তাবিজ দিয়ে' বশ করতে চেয়েছিলেন বৈশাখী!

ODD বাংলা ডেস্ক: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই তাঁর সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্টবাদী। কখনই কোনও বিষয়ে রাখঢাক করেননি। বরং খানিক গর্বের সুরেই বলেছেন দাম্পত্য জীবনে থেকে অত্যাচারিত হওয়ার থেকে সহবাসে থাকা ভালো। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, 'আমায় আমার এক কলিগ একবার গব্বর সিংয়ের বেল্টের মতো লম্বা তাবিজ দিয়েছিল। ওতে বুলেটের জায়গায় ১৮টা শিকড় ছিল। ওটা পরলেই নাকি মনোজিৎ আর আমার সমস্যা মিটে যেত। ও আমার বশে চলে আসত।' তিনি একই সঙ্গে জানান, 'আমার হাতে ওটা দেখে মনোজিৎ আদ্যিকালের ধ্যান ধারণা বলে মন্তব্য করে। কিন্তু আমি তখন ওকে বলি, তাহলেই ভাবো তুমি কেমন ভাবমূর্তি বানিয়ে রেখেছ যে তোমার এই পাশবিক রূপ দেখে লোকজন আমায় এসব দিচ্ছে।'বৈশাখী জানান তিনি হাসিখুশি থাকেন বলে অনেকেই ভাবেন যে কবজ তাবিজ করেন। তাঁদের ধারণা তুকতাক করেই নাকি তিনি তাঁর বরকে হাতে রাখেন। তবে তাঁর মতে, 'আমায় একজন বলেছিল, বৈশাখী তুই যত কষ্টই পাক দুঃখের কথা প্রকাশ্যে আনবি না। তুই তোর হেরে যাওয়ার কথা বললে আরও ১০০ জন হেরে যাবে। তাই আমি ভালো থাকি।' তিনি কথা প্রসঙ্গে আরও জানান, 'আমি একবার শোভনকে বলেছিলাম যে এসব পুরুষের জন্য আমার কবজ তাবিজ লাগে না। আমার মতো মেয়েরা একাই থাকতে পারে। বরং এঁদের দূরে রাখার জন্য যদি কোনও পাথর থাকে সেটা নিজের চারপাশে বিছিয়ে নেব।' আপাতত তিনি অতীতের গ্লানি, দুঃখের দিন ভুলে সন্তান এবং আদরের দুষ্টুর সঙ্গে থাকছেন। তাঁর এবং শোভনের এই সহবাসে তাঁর কোনও গ্লানি নেই বলেই জানান। এমনকি তাঁর বন্ধুরাও তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলেই দাবি করেন বৈশাখী। জানান 'ওঁরা আমাদের বিয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে। বলে আমাদের বিয়েতে অনেক মজা করবে। আসলে এখন সমাজ বদলাচ্ছে। সবাই এটা মেনে নিচ্ছে।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.