পণের দাবিতে বাড়ির বউয়ের ওপর নৃশংস অত্যাচার! সাক্ষী থাকল বাংলা

ODD বাংলা ডেস্ক: পণের দাবিতে গার্হস্থ্য হিংসা। তা মেটাতে গ্রামে বসে সালিশি সভা। কিন্তু সালিশি সভার শেষেও রাতভর বধূর ওপর চলল নারকীয় অত্যাচার। বদ্ধঘরে বিবস্ত্র করে হাত পা বেঁধে নির্যাতন গৃহবধূকে। ছুরি-ব্লেড দিয়ে চিরে দেওয়া হয় সারা শরীর। কেটে দেওয়া হয় শিরা। আঘাত করা হয় চোখে-মাথায়। তারপর মৃত ভেবে সেই অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় ঘরের বাইরে রাস্তায়। মর্মান্চিক, নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।অভিযোগ স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতার বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। নির্যাতিতার বাবার মৃত্যু হয়েছে বছর বারো আগেই। মা-ই নিজের সব কিছু দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ,বিয়ের দুই বছর পর থেকেই পণের দাবিতে ওই বধূর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী, দেওর-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা।দীর্ঘদিন চুপচাপ নির্যাতিতা সবটা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলতে থাকায় মাকে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার মায়ের পক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবে ধার করে বেশ কয়েক দফায় কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিলেন।তারপরও নির্যাতন থামেনি বলে অভিযোগ। পাড়া প্রতিবেশীরাও বিষয়টি জানতে পেরে গিয়েছিলেন। সমস্যা মেটাতে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভাও বসে। একাধিকবার সেই সালিশিসভায় সমস্যা সমাধানের সূত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা চলে। রবিবার রাতেও সালিশি সভা বসে।কিন্তু তারপর সেই রাতে অত্যাচার মাত্রা ছাড়ায়। সোমবার রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূর পরিবার। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.