গান্ধীজি সম্পর্কে এই ১২টি তথ্য কি আপনারা জানতেন
ODD বাংলা ডেস্ক: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে সেই গান্ধীজির ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকী ২ অক্টোবর, দিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসাবেই পরিচিত। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে অবদান রেখে গিয়েছেন তাতে তাঁকে 'জাতীর জনক'ও বলা হয়ে থাকে। সারা বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জনকারী 'মহাত্মা'র জীবনের অনেকাংশই অনেকের অজানা। শুধুমাত্র আপনাদের জন্য রইল এমনই কিছু তথ্য যা, আজও প্রচারের আলো থেকে অনেকটাই দূরে, যা আজও অনেকেরই অজানা।
১) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ছাত্রজীবনে স্কুলের একটা আলাদা নাম ছিল। ডাক নামও বলতে পারেন। স্কুলে ছোট্ট মোহনদাস মোনিয়া নামেই পরিচিত ছিলেন।
২) সাল ১৯৩০। টাইম ম্যাগাজিনের 'ম্যান অব দ্য ইয়ার' নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
৩) খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বা বলা ভাল বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে কস্তুরবা-র সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। সেইসময়ে কস্তুরবা গান্ধীর বয়স ছিল ১৪ বছর। গান্ধীজির থেকে এক বছরের বড় ছিলেন তিনি।
৪) বয়সকালে সাদা ধুতি-চাদর পরিহিত যে গান্ধীজিকে দেখতে সকলেই অভ্যস্থ অনেকেই জানেন না লন্ডনে পড়ার সময়ে তিনি কিন্তু পুরোদস্তুর সাহেব ছিলেন। রীতিমতো সাহেবি কায়দায় কোট-প্যান্ট-টাই পরতেন। শুধু তাই নয় শিখতেন নাচ এবং বাজাতেন বেহালাও। পরে অবশ্য় সাদা মাটা জীবনযাপন করতে গিয়ে সবকিছুই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
৫) গান্ধীজির জীবনে তাঁর শিক্ষাগুরুদের মধ্যে অন্যতম একজন শিক্ষক ছিলেন আইরিশ। আর সেই কারণেই তাঁর ইংরেজি বলার মধ্যে ছিল একটা আইরিশ টান।
৬) দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময়ে তিনি বছরে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন, যার বর্তমান মুল্য বছরে প্রায় ৯.২৫ লক্ষ টাকা।
৭) গুজরাতি ভাষায় তিনি তাঁর আত্মজীবনী লেখেন, যা পরবর্তীকালে তাঁর সহকারীকে ইংরেজি বাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
৮) গান্ধীজির হাতের লেখা মোটেও ভাল ছিল না, এবং এই নিয়ে তাঁকে নানান সময়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
৯) গান্ধীজির জন্মদিন হিসাবে ২ অক্টোবর তারিখটি জাতিসঙ্ঘের তরফে অহিংস দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসঙ্ঘ।
১০) অনেকেই জানেন না তিনি পাঁচবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। সকলেরই প্রত্যাশা ছিল যে ১৯৪৮ সালে হয়তো তিনিই নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হবেন। কিন্তু সেইবছরই জানুয়ারী মাসে তাঁকে গুপ্তহত্যা করা হয় এবং নোবেল কমিটি যেহেতু মরোণোত্তর পুরস্কার প্রদান করে না সেহেতু তাঁর আর নোবেল পুরস্কার পাওয়া হয়নি।
১১) রাশিয়ার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক টলস্টয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন গান্ধীজি।
১২) তিনি যেখানেই যেতেন কাপড়ের খুঁটে বেঁধে নিয়ে যেতেন নকল দাঁতের পাটি। কেবল খাওয়ার সময়েই সেই দাঁতের পাটিটি বের করতেন তিনি।
Post a Comment