আজ ভূত চতুর্দশী, রাতে ঠিক এই সময় হবে 'তেনাদের' আগমন
মানা হয় এতে প্রেতাত্মারা খুশী হন। এছাড়া এদিন ভূতের সাজসজ্জা সেজে আনন্দ উৎসব করা হয়। হিন্দুদের উৎসব একেবারে অন্য নিয়মে। চৌদ্দ শাক খেয়ে দিনটি পবিত্র ভাবে পালন করে সন্ধ্যায়মৃত পূর্বপুরুষ দের উদ্দ্যেশে সাতটি প্রদীপদেওয়া হয়। একে "যম প্রদীপ" বলে। বলা হয় এতে যমরাজ প্রসন্ন হয়ে মৃত ব্যাক্তিরআত্মাকে মুক্ত করেন। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ দের মতো হিন্দুরাও বিশ্বাস করে এই দিনটি তে মৃত আত্মারা পৃথিবীতে নেমে আসেন। যাই হোক ভূত চতুর্দশীর একটি অন্য রকম অর্থ দাড়ায়।
ভূতচতুর্দশীর পর দিন দীপান্বিতা অমাবস্যা।মহাশক্তি মা কালীর পূজার দিন। আমাদের এই দেহ পঞ্চভূতের সমষ্টি। আকাশ, ভূমি, জল, অনল, পবন। দেহান্তে শ্মশানে দেহ দাহ হলে এই শরীরপঞ্চভূতে বিলীন হয়। সুতরাং এই পঞ্চভূতের শরীর কে নশ্বর জ্ঞানে এই দিনটি পবিত্র ভাবে থেকে চৌদ্দ শাক ভক্ষণ করে, সন্ধ্যায় ধর্মরাজের নামে প্রদীপ উৎসর্গ করে পর দিবস মা কালীর উপাসনায় ব্রতী হবার শিক্ষে দেয়। তাইএই দিন ভূত চতুর্দশী নামে খ্যাত। প্রেতাত্মার কথা বলতে এখানে দেহের নশ্বর মূর্তির কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
সনাতন ধর্ম বা ভারতীয় আন্চলিকতায় বিভীন্ন অশরীরি আত্মার কথা পাওয়া যায় তেমনী পুরাণ গুলোতে ভূত পিশাচ বেতাল ডাকিনী ইত্যাদি রকম নাম পাওয়া যায়। সকল পূজার পূর্বে ভূতের নামে পূজা দিয়ে তাদের তারাতে হয় নাহলে পূজায় বিঘ্ন ঘটে।
ভূত কে বিশ্বাস না করার কিছু নেই কারণ, সকল আত্মাই স্বর্গ বা নরকে যেতে পারে না। বিভীন্ন কারণে তারা পৃথিবীতে থেকে যায়। কেউ বা অতৃপ্ততার জন্য কেউবা অপঘাতে মৃত্যুর জন্য। ভূত যোনীতে থাকা আত্মারা পৃথিবীতে থেকেও নরক যন্ত্রনা ভোগ করে। যখন তারা এই পৃথিবীর মানুষদের সুখে থাকতে দেখে তখন তারা তাদের সুখকে বিঘ্ন ঘটাতে চায়।
কিন্তু মনে রাখতে হবে টিভি সিনেমার ভূত আর বাস্তব ভূত একদম আলাদা। কারণ, ভূত কারো ক্ষতি করতে পারে না, মানুষ ভূত কে অনুভব করে নিজেদের মধ্যই একটা চিত্র তৈরী করে নেয় আর তার বর্ণনা দেয়। আপনাদের অবগতির জন্য বলতে হচ্ছে, পরমাণুর ১০লক্ষ ভাগের সমান একটি আত্মা সুতরাং তার কোন দেহ বা রুপ চর্মচক্ষুতে দেখা অসম্ভব।
Post a Comment