বাংলায় কার হাত ধরে সূচনা হয় জগধাত্রী পুজো, জানুন সেই ঐতিহাসিক কাহিনি


ODD বাংলা ডেস্ক: কালীপুজোর পরে যে ধর্মীয় উত্‍সবকে ঘিরে মেতে ওঠে বাঙালি সমাজের একাংশ, তা হল জগদ্ধাত্রী পুজো। মূলত কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে ধূমধাম হলেও গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের অন্যান্য অংশেও যথেষ্ঠ নজরকাড়াভাবেই আয়োজিত হচ্ছে জগধাত্রী পুজো। বলাবাহুল্য, কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গাপুজোকেও ছাপিয়ে প্রধান উত্‍সব হিসেবে গণ্য হয়। বহু মানুষ এই সময় জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভা দেখতে চন্দননগরে যান। তবে এই বছর করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য উত্‍সবের মতো জগদ্ধাত্রী পুজোতেও রয়েছে বিধিনিষেধের কাঁটা। 

কিন্তু জানেন কি বাংলায় জগধাত্রী পুজোর সূচনা হল কীভাবে, এর জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে দুর্গার বিকল্পরূপ হিসেবে জগদ্ধাত্রীর আরাধনার প্রবর্তক নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। কারণ দুর্গাপূজা করতে অসমর্থ হয়ে বিকল্প হিসেবে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা বঙ্গে প্রথম প্রচলন করছেন তিনিই। 

ইতিহাস বলেছ, তখন বঙ্গের তখতে আসীন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তাঁর রাজত্বকালে রাজার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। কৃষ্ণচন্দ্র তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। ছাড়া পেয়ে রাজা যখন নদীপথে কৃষ্ণনগরে ফিরছেন শুনতে পেলেন বিসর্জনের বাজনা। সেই বছর দুর্গাপুজো করতে না পারায় অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে পড়েন রাজা। জনশ্রুতি, সেই রাতেই রাজাকে স্বপ্নে দর্শন দেন জগদ্ধাত্রী। তাঁর পূজার নির্দেশ দেন যা দুর্গাপূজারই সমতুল! সেই ১৯৬৬ সাল থেকে কৃষ্ণনগরে দুর্গাপুজোর বিকল্প হিসেবে প্রচলিত হল জগদ্ধাত্রী পুজো। কৃষ্ণচন্দ্রের পূজায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফরাসীদের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী শুরু করলেন তৎকালীন ফরাসডাঙা বা অধুনা চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজা। যা পরে বিকল্প এক উৎসবের আকার নেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.