কবিতা: জীবন ও মৃত্যু


জীবন এক বিস্তীর্ণ প্রান্তর,
দিগন্তে মেশেনি এগিয়ে দেখ,
তাকে ছাড়িয়ে গেছে।

জীবন এক বিশাল খেলার মাঠ,
শৈশব থেকেই,
তাতে ফুটবল খেল, ক্রিকেট খেল
হকি খেল।

জীবন প্রানচঞ্চল স্থিতিস্থাপক,
সে ক্যারম বোর্ডের আকার নেয়,
সে দাবার বোর্ডের আকার নেয়।
জীবন কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করে আঠারো দিন,
জীবন চায়ের টেবিলে লড়তে পারেন ছত্রিশদিন।

জীবনে শৈশব আছে, জীবনে যৌবন আছে।
জীবনে তুমি আছো।
তুমি আছো তাই আছে নিজেকে ভালো লাগা,
তুমি আছো তাই আছে জীবনে ভালোবাসা।
তুমি কপট রাগে আমাকে হারিয়ে কাঁদিয়ে
খিলখিল হাসো।
তোমার হাসিতে হৃদয় নাচে,
তোমার হাসিতে জীবন নাচে।

মৃত্যু একটা বদ্ধ জলাশয়।
তাতে শেওলা ভরেছে অতিশয়।
শেওলার সবুজতায় ভুলিনা।
সে সবুজ বিষময় বিষন্নতা।
বদ্ধ জলাশয়ে কীট পতঙ্গের দাপাদাপি, 
আমার প্রাণের চীৎকার চেঁচামেচি।

মৃত্যু আমার ভালোলাগা ভালোবাসা কেড়ে নেয়,
মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে আমি হেরে যাই।
তুমি তখন আসল কান্না কাঁদ।
সে কান্না কপট নয় , কাঁদে তোমার হৃদয়।

তোমার চোখের জল মৃত্যুকে ঘৃণা করতে বলেছে।
তোমাকে কাঁদাবোনা বলেই মৃত্যুকে আমি
ঘৃণা করি।

লেখক: বরুণ মজুমদার
পরিচিতি: বর্ধমান নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারী কর্মচারী। ছোটবেলা থেকেই গল্প ও কবিতা লেখার নেশা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.