যমুনা যমকে নয়, প্রথম ভাই ফোঁটা পেয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ


Odd বাংলা ডেস্ক: মঙ্গলবার বাংলার ঘরে ঘরে পালন করা হবে  ভাই ফোঁটা। কিন্তু আদতে ভাই ফোঁটার শাস্ত্রগত গুরুত্ব কী সেটা জানা আছে কি?   আমাদের যা ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে তা ভাই দুজ। দক্ষিণ ভারতে যমদ্বিতীয়া। মহারাষ্ট্র গুজরাতে ভাই বিজ। নেপালে সেটাই ভাই টিকা। কিন্তু এই ভাইফোঁটা ঠিক কবে থেকে শুরু হল?  নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী আছে সেটা এইরকম। বলা হয়, নরকাসুরকে বধ করে এইদিন বোন সুভদ্রার কাছে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সুভদ্রা দাদাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ফুল-মিষ্টান্ন দিয়ে। আরতিও করেছিলেন।এবং দাদার মাথায় বিজয় তিলক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটা এমন এক উত্‍সব যেখানে ব্রাহ্মণ পুজারীর দরকার হয় না। তবু বিশেষ না হলেও এর জন্যেও আছে কিছু রীতি রেওয়াজ। ভোরে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে ফোঁটা দেওয়া নেওয়াই রেওয়াজ। ফোঁটাগ্রহণের আগে উপবাস রাখা হয়। ফোঁটা বা তিলকদানের পর্ব মিটলে ভঙ্গ করা হয় উপবাস। ভারতের অন্য প্রদেশে তিলকদানের পরে ভাইয়ের হাতে দেওয়া হয় নারকোল। ভাই বিবাহিত হলে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানাদির হাতেও নারকোল দেয় বোন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.