সহবাসের পর ছেলের বাড়ির আপত্তিতে বিয়ে না হলে, তা ধর্ষণ নয়: আদালত

ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর, যদি মা-বাবার আপত্তিতে কেউ সেই প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে আসেন, তবে তা ‘ধর্ষণ’ বলে গণ্য করা যায় না। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাখল আদালত। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ রেখেছে। নাগপুরের বাসিন্দা এক যুবতী ২০১৯ সালে তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ওই যুবতীর বোনের মাধ্যমে যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। এরপর এগড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। হঠাৎই ওই যুবতী জানতে পারেন, যুবকের অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং তাদের বাগদানও হয়ে গিয়েছে। এরপরই যুবতী পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ওই যুবক জানায়, সে বিয়ে করতে রাজি থাকলেও তাঁর মা-বাবা রাজি নন। অভিযুক্ত ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর বাবার দেখাও করায়, তিনিও বিয়েতে আপত্তি জানান। এরপর পুলিশ যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত যুবকও সেশন কোর্টের দ্বারস্থ হন, কিন্তু আদালত মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করলে, তিনি বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল। বিচারপতি এম ডব্লু চান্দওয়ানি যাবতীয় প্রমাণ খতিয়ে দেখে বলেন, “মা-বাবা রাজি না হওয়ায় শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে আসার কারণে অভিযুক্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় (ধর্ষণ) অপরাধ করেছে, এ কথা বলা যায় না।”হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, “চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে উভয়ের সম্মতিতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতিই শারীরিক সম্পর্কের একমাত্র কারণ ছিল না। যৌন সম্পর্কের প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল যুবতী এবং তারপরও সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। প্রতিবারই যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল, তা প্রমাণ হয় না। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.