আফ্রিকার এই দেশের সরকারি ভাষা বাংলা, ভাবুন একবার


Odd বাংলা ডেস্ক: জন্মদাত্রী মা মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি একজন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় তিনটি বিষয়। তিনটি যেন একই সূত্রে গাঁথা। যে মায়ের কোলে আমরা বড় হয়ে উঠি সেই মায়ের মুখের ভাষাতেই আমরা একদিন কথা বলতে শিখি। সেই ভাষাতেই ‘মা’ বলে ডেকে উঠি। জীবনের দুঃখ, কষ্ট কিংবা সুখের অনুভূতি সব প্রকাশ করি এই ভাষাতেই। পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সমগ্র বিশ্বে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনেই (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শহীদ হয়েছিলেন রফিক,জব্বার,শফিউল,সালাম,বরকত সহ অনেকেই। সময়ের পরিক্রমায় সেই বাংলা ভাষা ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি নতুন দেশের জন্ম দিয়েছে। বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পরেছে বিশ্বের সর্বত্র এমনকি পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও। 


আফ্রিকানরা গাইছে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো

পৃথিবীর বুকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ ব্যতীত আরও একটা দেশ আছে যাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে বাংলা স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটি সিয়েরা লিওন। ভারত থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের এ দেশে বাংলা ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে। সিয়েরা লিওনকে বলা হয় ‘হীরার খনির গরিব দেশ’। অসংখ্য খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ হলেও এ দেশের মানুষ খুবই দরিদ্র ও অসুখী। দীর্ঘদিন এখানে ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। এ উপনিবেশটি গড়ে তোলা হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুক্ত ক্রীতদাসদের নিয়ে। এরা সবাই ছিলো কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস। ১৯৬১ সালে সিয়েরা লিওন ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমানে সিয়েরা লিওনের সাংবিধানিক নাম সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র। সিয়েরা লিওন পশ্চিম আফ্রিকায় আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। যার আয়তন ৭১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। সিয়েরা লিওনে বাস করে ১৬টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যাদের সবার নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি আছে। ১৬ টি জাতিসত্তার বসবাস হলেও তাদের মধ্যে দুটি বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী হল তেমনে ও মেন্দে সম্প্রদায়। সিয়েরা লিওনের উত্তরাঞ্চলে তেমনে জাতিগোষ্ঠীর প্রাধান্য রয়েছে, অপরদিকে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে মেন্দে জাতিগোষ্ঠী কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। 

তথ্যসূত্র: ওয়ার্লড অ্যাটলাস
Blogger দ্বারা পরিচালিত.