ফোন হ্যাক হলে কী করবেন, জেনে নিন

ODD বাংলা ডেস্ক: ফোন হ্যাক হওয়া বা হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন তা অনেকেই জানেন না। 

ফোন হ্যাক হলে কী করবেন জেনে রাখুন

ম্যালওয়্যার ভাইরাসের আক্রমণ সাম্প্রতিক কালে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোনে থাকা জরুরি তথ্য, ব্যাংকের পাসওয়ার্ড ইত্যাদি হ্যাক করে নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর এই সবই হচ্ছে ফোনে জমে থাকা ভাইরাসের জন্য। কিন্তু, সেটি খুঁজবেন কীভাবে? আর ফোন থেকেই বা কী ভাবে মুছে ফেলা যাবে? জানেন না অনেকেই। যার জন্য একটি বিশেষ বট রিমুভার টুল বানিয়েছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন।

এসএমএস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের পাঠানো শুরু হয়েছে। আপনি যদি ভারতীয় অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারী তাহলে নিশ্চয়ই এই মেসেজটি পেয়ে থাকবেন। 

কীভাবে ফ্রি বট রিমুভাল টুল ব্যবহার করতে হয় সেই পদ্ধতি ধাপে ধাপে জেনে নিন। তবে তার আগে এই বট বা ম্যালওয়্যার কী তা জেনে রাখা দরকার।

ম্যালওয়্যার বা বট কী?

হ্যাকিং, স্প্যামিং করার জন্য এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বানিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেটের পাশাপাশি ফোনে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ফোনে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। যা একজন সাধারণ মোবাইল ব্যবহারকারীর পক্ষে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। যার জন্য এই ফ্রি বট রিমুভাল টুল বানিয়েছে সরকার।

ফ্রি বট রিমুভাল টুল

অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের এর জন্য গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে
সেখানে সার্চ করতে হবে ‘eScan CERT-IN Bot Removal Tool’
তারপর সেটি ফোনে ডাউনলোড করে নিতে হবে
এবার এই টুল ফোনে থাকা সমস্ত অ্যাপ স্ক্যান করা শুরু করবে
কোনও ম্যালওয়্যার বা বট শনাক্ত হলে তা ফোন থেকে মুছে দেবে এই টুল

এছাড়াও সিএসকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ‘Security Tab’ অপশন ক্লিক করে যে কোনও পছন্দের একটি বট রিমুভাল টুল ডাউনলোড করে নিতে পারেন। উইন্ডোস ব্যবহারকারীরা অবশ্যই অ্যান্টি ভাইরাস ইনস্টল করবেন।

কীভাবে ফোনে প্রবেশ করে ভাইরাস?

সাধারণত ভুয়ো ইমেইল, ভুয়ো লিঙ্ক, ভুয়ো ওয়েবসাইট, বা এমন ওয়েবসাইট যা নিরাপদ নয়, ভুয়ো ফাইল, অনিরাপদ ওয়াইফাই ইত্যাদি অ্যাক্সেস করার ফলে স্মার্টফোনে প্রবেশ করে ভাইরাস।

নতুন স্মার্টফোনের গতি যদি হঠাৎ কমে যায় বা দ্রুত ব্যাটারি শেষ হয়, অজানা অ্যাপ যা আপনি ডাউনলোড করেননি এমন দেখতে পেলে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্মার্টফোন সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে আপডেট করুন। অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। ফোনে আন-ভেরিফায়েড থার্ড পার্টি অ্যাপ বা এপিকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.